ঢাকা, শনিবার, ৮ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

মাইলস্টোনে দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়াকেও বাঁচানো গেল না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫৬, আগস্ট ২৩, ২০২৫
মাইলস্টোনে দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়াকেও বাঁচানো গেল না মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিয়াকেও (১৫) বাঁচানো গেল না। এক মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে সে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার জানান, তাসনিয়ার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল তার। সেখানেই সকালে সে মারা গেছে।

তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল হোসেন জানান, মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো মেধাবী এই শিক্ষার্থী।

তাকে নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। তবে হাসপাতালটিতে সুস্থ হয়ে বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ জন। আরও ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

গত ২১ জুলাই দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে ওই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহায়তায় বিভিন্ন বাহিনী উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয়। রাত পর্যন্ত চলে অভিযান। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতেই ২০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে বিমানটির পাইলট তৌকির ইসলামও ছিলেন।

আহতদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। হিসাব অনুসারে, সবমিলিয়ে ৩৬ জন মারা গেলেন।

ওই দুর্ঘটনায় পরদিন ২২ জুলাই একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।  

এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।