ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

ধর্ষণে বাধা ও চিৎকার দেওয়ায় গলায় পা দিয়ে চেপে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩৫, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
ধর্ষণে বাধা ও চিৎকার দেওয়ায় গলায় পা দিয়ে চেপে হত্যা ধর্ষণ মামলার আসামি রায়হান কবির সোহাগ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রোকসানা ওরফে আফসানা (১০) নামে এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার ঘটনা আসামি রায়হান কবির সোহাগকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নবীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রায়হান বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার কবির হোসেন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

সে নীট কনসার্ন গার্মেন্টসে কাজ করতো। নিহত রোকসানা আসামি রায়হানের দ্বিতীয় স্ত্রী পাখীর বান্ধবী।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরফুদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ২৭ জানুয়ারি ওই স্কুলছাত্রীর বাবা আশরাফুল ইসলাম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, অপারেশন) নজরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন উল আবেদ ও রাসেল আহমেদকে দিয়ে এ ঘটনায় একটি কমিটি করা হয়। কমিটি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে আসামি রায়হান কবির সোহাগ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে তার প্রথম স্ত্রী তামান্না সন্তানসহ কুমিল্লায় থাকে। দ্বিতীয় স্ত্রী পাখী বন্দরে থাকলেও তার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় পাখী ২১ জানুয়ারি বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। ২২ জানুয়ারি পাখীর বান্ধবী রোকসানাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরাফেরা করিয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় আসামি সোহাগ। আবারও ২৩ তারিখ তাকে ঘুরার কথা বলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে বন্দরে তার ভাড়া বাসায় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।

ধর্ষণের সময় রোকসানা বাধা দিলে ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে গলায় পা দিয়ে মেঝের সঙ্গে চেপে ধরে রাখে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত হলে ২৪ জানুয়ারি রোকসানার হাত-পা বেঁধে ও মুখে কচটেপ পেচিয়ে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে কাইকারটেক ব্রিজের নিচে ফেলে চলে যায় সোহাগ।  

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহ সোনারগাঁও উপজেলার কাইকারটেক এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রোকসানা সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

এর আগে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন স্কুলছাত্রী আফসানার বাবা আশরাফুল ইসলাম। সেখানে গত ২৩ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আফসানা আর বাসায় ফিরেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, আসামি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।