রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে তিনজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে একজনসহ মোট চারজন মারা গেছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, রাতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষার্থী আফনান ফাইয়াজ (১৪) এবং শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী (৪৬)।
আফনানের শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং মেহেরীনের ১০০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ (১৪) দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন হারুনুর রশীদ জানান, রাজধানীর উত্তরা বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বার্ন ইউনিটে মোট চারজন রোগী এসেছেন। তাদের মধ্যে ১১ বছর বয়সী জুনায়েত হাসান জরুরি বিভাগে মারা গেছে। বর্তমানে তিনজন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
মৃত জুনায়েত হাসানের নানা মোসলেম উদ্দিন মোল্লা বলেন, তাদের বাড়ি তুরাগ নয়ানগর এলাকায়। জুনায়েত মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম আসলাম মিয়া। জুনায়েতের বড় ভাই আরবী হাসান একই স্কুলে পড়ে এবং সুস্থ আছে।
আর মৃত তানভীরের বাড়ি তুরাগ নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায়। তার বাবার নাম রুবেল মিয়া। সে মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে বিধ্বস্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আইএসপিআর জানায়, আকস্মিক এই বিমান দুর্ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মো. তৌকির ইসলামসহ ২০ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আটজন, বার্ন ইনস্টিটিউটের ৭০ জন, ঢাকা সিএমএইচে ১৭ জন, কুর্মিটোলায় একজন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হসপিটালে ৬০ জন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে আইএসপিআর জানায়।
এজেডএস/আরএইচ