জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে পদক গ্রহণের সময় পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র মাইনুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্কুল ভবন নির্মাণের আবেদন পেশ করে।
পঞ্চম শ্রেণির প্রথম স্থান অধিকারী বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ৩৪নং জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মাইনুল জাতীয় পর্যায়ে উপস্থিত বক্তব্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।

ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাইনুলের কিছু সময় হাসিমুখে কথোপকথন হয় বলে বাংলানিউজকে জানান উপস্থিত কর্মকর্তারা।
ওই দিনই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্কুলভবন নির্মাণের চিঠি পাঠানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৯ জানুয়ারি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে পদক বিতরণের সময় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে আবেদন পেশ করে।

“আপনার কাছে আমার বিনীত প্রার্থনা, যাতে আমরা অতিদ্রুত একটি দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টার পেয়ে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারি তার বিহীত বিধানে মর্জি হন। ”
এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সদয় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে বলেন, ওই স্কুলের ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই স্কুলে ভবন তৈরি হবে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দেশে আর কোনো জরাজীর্ণ স্কুল থাকবে না বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ