ঢাকা, বুধবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অভিযোগ পর্যালোচনায় কমিশন গঠন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:৪১, জুলাই ৩০, ২০২৫
তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অভিযোগ পর্যালোচনায় কমিশন গঠন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ লোগো

ঢাকা: ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোটাধিকার খর্ব করে একটি বিশেষ দলকে নির্বাচিত করার অভিযোগ রয়েছে।

এরই প্রেক্ষাপটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে করণীয় নির্ধারণ করতে সরকার নিম্নরূপে একটি কমিশন গঠন করেছে।

হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে সভাপতি করে গঠিত কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সরকারের সাবেক গ্রেড-১ কর্মকর্তা শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপণ), ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশ্লেষক ড. মো. আব্দুল আলীম।

কমিশনের কার্যপরিধি নিম্নরূপ:

(ক) ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন, তদারকি প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগ বিশ্লেষণ;
(খ) নির্বাচনে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এবং এর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত পর্যালোচনা;
(গ) তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সংক্রান্ত অভিযোগ বিশ্লেষণ;
(ঘ) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ভূমিকা পর্যালোচনা;
(ঙ) আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ;
(চ) তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও অনুসন্ধান;
(ছ) নির্বাচন অনিয়মের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ;
(জ) ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও মানসম্পন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন;
(ঝ) প্রয়োজনে দলিল দস্তাবেজ তলব ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষমতা প্রয়োগ।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কমিশন দেশের যেকোনো স্থান পরিদর্শন, যেকোনো সরকারি দপ্তরের নথি তলব এবং সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

কমিশনকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লজিস্টিক ও তথ্য সহায়তা দেবে।

এমআইএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।