সোনালী ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চোধুরীর অপসারণ দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি)।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলের অন্যতম সুবিধাভোগী এবং আওয়ামী লুটপাট অর্থনীতির থিংকট্যাংক বলে খ্যাত মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
মুসলিম চৌধুরী আওয়ামী সরকারের সময় অর্থ সচিব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উচ্চ পদে থাকা কালিন সময়ে ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তিনি অর্থ বিভাগের সচিব থাকাকালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক ক্যালেঙ্কারি রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে। সিএজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় তার স্বাক্ষর ছাড়া অর্থ বিভাগের কোন ধরনের তহবিল ছাড় করা সম্ভব ছিল না। অর্থাৎ বিগত সরকারের দুর্নীতির দায় তিনি এড়াতে পারেন না। তার শিষ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মুসলিম চৌধুরীর ছত্র ছায়ায় ও সহযোগিতায় তিনি এসব অপকর্ম করেছেন। চট্টগ্রামের রাউজানের সবাই অবগত যে মুসলিম চৌধুরীর পরিবার বংশানুক্রমে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
আপাদমস্তক সুবিধাভোগী ও আওয়ামী পরিবারের এমন একজন ব্যক্তিকে দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তার এই নিয়োগ পদায়ন জুলাই আগস্ট বিপ্লব ও চেতনার পরিপন্থি। জেবিএবি’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. ইকবাল হোসেন ও সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক অবিলম্বে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চোধুরী অপসারনের এই দাবি করেন। অন্যথায়, জুলাই-আগস্ট চেতনায় উদ্বুদ্ধ ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) জেবিএবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানে পেশাজীবী হিসেবে ব্যাংকারদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান।
এএটি