ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির মধ্যে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৪ মে) রাতে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
হাসনাত লেখেন, একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে মাহফুজ আলম সমস্যা সমাধানে গিয়েছিলেন, তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়।
তিনি লেখেন, এ ধরনের উগ্র ও হঠকারী আচরণ ভবিষ্যতে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন হাসনাত। তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণও সন্দেহজনক। সব জনদাবির সম্মুখে ছাত্র উপদেষ্টাদের ঠেলে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট।
মাহফুজ আলমের ওপর বোতল ছোড়ার ঘটনায় সারজিস ফেসবুক পোস্টে লেখেন, তার (মাহফুজ) সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে, সেটার জন্য আপনাদের প্রতি ধিক্কার। যিনি আপনাদের কথা শুনতে গিয়েছেন, আপনারা তাকে আঘাত করেছেন!
তিন দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ কাকরাইলে যমুনা অভিমুখী সড়কে এসে অবস্থান নেয়।
ইএসএস/এসএএইচ/আরএইচ