ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ চৈত্র ১৪৩১, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে উত্তাল যশোর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৫
‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে উত্তাল যশোর

যশোর: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যশোর। সেইসঙ্গে গাজাবাসীর সমর্থনে বন্ধ রাখা হয়েছে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে যশোর শহরের রাজপথ প্রকম্পিত করেন হাজার হাজার ছাত্র-জনতা।  

ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

মিছিলের আগে শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা শহীদ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যশোরের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচিতে জেলা শহরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।  

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন লেখক ও গবেষক বেনজিন খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়কারী রাশেদ খান।  

তারা বলেন, ইসরায়েল মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি শিশু, নারী-পুরুষকে নির্বিশেষে গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

সমাবেশ থেকে ইসরায়েলের সব ধরনের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশের পর একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের সমর্থনে নানা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড বহন করেন।

মিছিল থেকে সমস্বরে স্লোগান উঠতে থাকে ‘লাখো শহীদের রক্তের ঋণ, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘জায়নবাদ ইসরায়েল, ধ্বংস হোক নিপাত যাক’।

গাজায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ এবং গাজাবাসীর সমর্থনে বিশ্ব ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সোমবার যশোরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা নোটিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ম্যাসেস পাঠিয়েছেন।

সোমবার (৭ এপ্রিল) থেকে যেসব স্কুল খোলার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ছিল সেসব স্কুলের কয়েকটিতে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হলেও তাদের ক্লাসে প্রবেশ করাননি শিক্ষকরা। শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুল বন্ধের কারণ।

এদিকে সোমবার দুপুরে যশোর সরকারি এমএম কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যশোর জেলার সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল। গাজায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সেই কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।  

বিষয়টি রোববার (৬ এপ্রিল) গভীর রাতে জেলা বিএনপির হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়ে দেন দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।