ঢাকা: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং কুমিল্লা-৪ আসনের সাবেক এমপি মো. আবুল কালাম আজাদ ও তাদের পরিবারের আরও চার সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (০৪ জুলাই) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- রাঙ্গার ছেলে রাফাত রহমান জিতু, মেয়ে মালিহা তাসনিম জুই, জিতুর স্ত্রী শাকিলা খানম কাকন এবং আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সাদিয়া সাবা।
এদিন রাঙ্গা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। আবেদনে বলা হয়, রাঙ্গা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদ-[পদবি ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে ভিন্ন কোনো উৎস হতে বা অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনপূর্বক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ করাসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান হয়েছে। মশিউর রহমান রাঙ্গা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। তারা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
অপরদিকে আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন আরেক সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানকালে তার ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে অবৈধ উপায়ে নিজ এলাকায় কৃষি জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ক্রয় এবং তার নামে বিপুল পরিমাণ অস্থাবর রয়েছে মর্মে জানা যায়। তারা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি/প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করতঃ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
উভয় আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
কেআই/আরআইএস