সিরিয়ায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই আগামী ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর–এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংসদীয় নির্বাচন। এটি হবে বিদ্রোহ-পরবর্তী নতুন প্রশাসনের অধীনে প্রথম জাতীয় নির্বাচন, যা দেশটির রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় সূচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রবিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা দেন সিরিয়ার পিপলস অ্যাসেম্বলি নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাহা আল-আহমাদ।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশজুড়ে বিদ্রোহীদের জোরালো অগ্রযাত্রায় সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আহমেদ আল-শারা দায়িত্ব নেন। তার অধীনে এই নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে রাজনৈতিক রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে।
সিরিয়ার ২১০ আসনের সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসনে (প্রায় ৭০টি) প্রেসিডেন্ট মনোনীত সদস্য নিয়োগ দেবেন, বাকি দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জনগণের সরাসরি ভোটে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিটি প্রদেশে একটি করে “নির্বাচনী কলেজ” গঠন করা হবে। এই কলেজগুলো নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ে ভূমিকা রাখবে বলে জানান নির্বাচন কমিটির সদস্য হাসান আল-দাগহিম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নির্বাচন সিরিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। তবে এখনো বড় প্রশ্ন হয়ে আছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এই নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন প্রশাসন ও নির্বাচনকে কীভাবে গ্রহণ করবে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, নির্বাচন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে অগ্রসর হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি করলেও, মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা অনেকটাই নির্ভর করবে অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উপর।
এমএম