যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা অবিলম্বে একত্রে বসে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। সীমান্তে টানা তিনদিনের সংঘাতের পর শান্তি স্থাপনের চেষ্টায় মধ্যস্থতা করতে নেমেছেন ট্রাম্প।
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছি, তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিক সদিচ্ছা দেখতে চাই।
স্কটল্যান্ড সফরের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এবং থাই প্রধানমন্ত্রী ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে, সীমান্ত সংঘাত চলতে থাকলে তিনি কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে যাবেন না।
উভয় পক্ষই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চায়, —নিজের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফিরিস্তি দিতে গিয়ে লিখেছেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
ফুমথাম আরও জানান, তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন যেন কম্বোডিয়াকে জানানো হয়, থাইল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে চায়, যেন যুদ্ধবিরতির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যায় এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়।
গত ১৩ বছরে এই অঞ্চলে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। এতে ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আগেই থাই-কম্বোডিয়ান সীমান্তে সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে গড়ায় এবং নতুন নতুন স্থানেও উত্তেজনা ছড়ায়। উভয় দেশই আত্মরক্ষার্থে অস্ত্র চালানোর দাবি করে এবং অপর পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সংঘর্ষ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের উপ মুখপাত্র ফারহান হক।
তিনি আরও জানান, গুতেরেস এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত রয়েছে।
আরএইচ