ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ভারত

সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কাশ্মীরে সর্বাত্মক হরতাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কাশ্মীরে সর্বাত্মক হরতাল

কলকাতা: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় গোটা ভারত স্তম্ভিত। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।

সবশেষ খবর অনুযায়ী, এ ঘটনায় ২৫ জন হিন্দু ও একজন মুসলিম প্রাণ হারিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের নিরস্ত্র করার দুঃসাহস দেখানোর পরিণাম হিসাবে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় সৈয়দ আদিল হুসেন শাহের শরীর। ঘটনার পরপরই ভারতজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। সবগুলো রাজনৈতিক দল প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে।

কাশ্মীর উপত্যকায় ৩৫ বছরের মধ্যে এমন নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বুধবার (২৩ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টার হরতাল পালিত হচ্ছে। পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর বিভিন্ন সংগঠন এই হরতালের ডাক দেয়। এতে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন রয়েছে।

শ্রীনগরসহ কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলের দোকানপাট, সমস্ত জ্বালানি স্টেশন, পেট্রোল পাম্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে। গণপরিবহন দেখা না গেলেও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করেছে। বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। সরকারি স্কুল খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের দেখা মেলেনি। উপত্যকার পর্যটন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সবাই সহমত হয়ে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হরতাল সমর্থন করছেন।

নজিরবিহীন এ ঘটনার কারণে সফর কাটছাঁট করে সৌদি আরব থেকে ফিরেই বুধবার দিল্লিতে বিমান নিরাপত্তা বিষয়ক গরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অপরদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই দুঃসময়ে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ করেছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদীদের বিপরীতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেছেন, সরকারের উচিত সন্ত্রাসীদের বলপ্রয়োগে দমন করা। কোনো নমনীয়তা বা আপসের প্রশ্নই ওঠে না। একই বার্তা দিয়েছে ভারতরে সবগুলো রাজনৈতিক দল। দেশের স্বার্থে সবগুলো দল সহমত পোষণ করেছে।

বুধবারও স্থানীয়রা মোমবাতি মিছিল করে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই অনশন পালন করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, সন্ত্রাসী হামলায় বুক ফেটে যাচ্ছে আমাদের। যতক্ষণ না সন্ত্রাসীরা শাস্তি পাচ্ছে ততক্ষণ আমরা চোখের পানিও ফেলব না। এমন ঘটনা কাশ্মীরে আর বরদাস্ত করব না। ট্যুরিস্টরা আমাদের প্রাণ।

কাশ্মীরের অর্থনীতি মূলত পর্যটন নির্ভর। এমন নৃশংস হামলার ঘটনার পর পর্যটন ব্যবসায়ে বড় ধস নামবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।