চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৯ শিক্ষার্থী। যাদের প্রত্যেকেই আবার বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রক্টর অফিসের সামনে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতিবেদন লেখাকালীন সময়ে তাদের কর্মসূচি চলমান ছিল।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর চবি শাখার সভাপতি জশদ জাকির, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ ও দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহজান, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার।
অনশনকারীদের দাবিগুলো হলো- স্থানীয়দের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহতদের তালিকা প্রকাশ ও উন্নত চিকিৎসা, নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসন ব্যবস্থা, আবাসনচ্যুতদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ, চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা ও নিরপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ, দ্বন্দ্ব নিরসনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও তিন মাস পরপর বৈঠক করা, সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা। শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ।
এদিকে গতকাল অনশনে বসার দুই ঘণ্টা পর বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী চবি শাখার সভাপতি জশদ জাকিরকে একটি হোটেলে গিয়ে ভাত খেতে দেখা যায়। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়।
অনশনরত বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহজান বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে সাত দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনোটা পূরণ হয়নি। তাই আমরণ অনশনে বসেছি। ২২ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসন আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি।
চবি’র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অ্যাকাডেমিক পরিবেশ ঠিক করার চেষ্টা করছি। অথচ তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। যারা এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তারা শিক্ষার্থীদের সমর্থন পাবে না।
এমএ/টিসি