ঢাকা, রবিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধীরে ধীরে সারছে আরাধ্যা ও দুর্জয়ের শরীরের ক্ষত

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
ধীরে ধীরে সারছে আরাধ্যা ও দুর্জয়ের শরীরের ক্ষত ...

চট্টগ্রাম: লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্জয় চৌধুরীর হাত ও পায়ের অপারেশন করা হয়েছে।

দুর্জয় দুর্ঘটনায় আহত আরাধ্যা বিশ্বাসের মামাতো ভাই।

গত ২ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মারা যান ১১ জন। এদের মধ্যে ছিলেন মাইক্রোবাসের যাত্রী দিলীপ বিশ্বাস (৪৩) ও সাধনা রাণী মণ্ডল (৩৭) দম্পতি, দিলীপের ভাই ৬০ বছর বয়সী আশীষ মণ্ডল।
 

দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল আরাধ্যা (৬) ও দুর্জয় (১৮)। ৪ এপ্রিল চিকিৎসকদের পরামর্শে আরাধ্যাকে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেও সুস্থ আছে।

সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিম শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুর্জয়কে দেখতে চমেক হাসপাতালে যান। পাশাপাশি ঢাকা কেন্দ্রীয় টিম ও চট্টগ্রাম টিম স্কয়ার হাসপাতালে যান আরাধ্যাকে দেখতে। সংগঠনের কর্মীরা জানান, শুরু থেকে আরাধ্যা ও দুর্জয়ের চিকিৎসা বিষয়ে সার্বিক দেখভাল করছিলেন উপদেষ্টা সৌরভ প্রিয় পাল। দুর্জয়ের অপারেশনের খরচও তিনি দিয়েছেন।

চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বেডে চিকিৎসাধীন কুষ্টিয়ার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র দুর্জয়। তার বাম হাত ও ডান পায়ে বড় ধরনের চিড় ধরে। মাথায় আঘাত রয়েছে। হাত-পায়ের অপারেশনের পর সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে আরাধ্যার সঙ্গে থাকা আত্মীয় অসিত কুমার বাড়ৈ বলেন, আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তাকে মুখে খাবার দেওয়া যাচ্ছে। মামাতো বোন তপতী বিশ্বাস আরাধ্যার দেখাশোনা করছে। সে শুধু মা-বাবার কথা জানতে চায়।  

এদিকে বুধবার থেকে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়ায় ‘আমরা ১১ জন’ এর ব্যানারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে কফিন নিয়ে পদযাত্রা ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শেষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে সৌরভ প্রিয় পাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গত ৩১ মার্চ চুনতির জাঙ্গালিয়ায় ৫ জন ও ১ এপ্রিল ১১ জন নিহত হয়। নিহত ১১ জনের প্রতীকী কফিন সহ পদযাত্রা শেষে ১১ আন্দোলনকারীকে নিয়ে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা লাশের মিছিল চাই না। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৫
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।