ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে চবিতে সমাবেশ 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে চবিতে সমাবেশ  ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। এসময় বিজ্ঞান চর্চা ও পণ্য বয়কটের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহীদুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীসহ উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে তারাই আজ ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। আজ বিশ্ব বিবেক কোথায়? আমরা হয়তো সরাসরি ফিলিস্তিনকে সাহায্য করতে পারবো না, তবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে পারবো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিল এবং থাকবে। ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী যে কার্যকলাপ সংগঠিত হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার তা জাতিসংঘ ও বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন।

অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, আমাদের প্রতিবাদ ইসরায়েলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে, যারা ফিলিস্তিনে নারী, শিশু ও বৃদ্ধাকে হত্যা করছে। আমেরিকা, এশিয়া, ইউরোপ জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন প্রতিবাদ হচ্ছে কিন্তু বিশ্ববিবেক আজ নিরব। ওআইসি, জাতিসংঘ, আরবলীগ এ বিষয়ে কোনো ভূমিকা পালন করছে না। আশাকরি বিশ্ববিবেক জাগ্রত হবে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে কাজ করবে।

উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আজ আমাদের একটাই এজেন্ডা তা গাজাবাসিকে রক্ষা করার এজেন্ডা। আমাদের প্রতিবাদ তাদের বিরুদ্ধে যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনের নিরাপরাধ শিশু, বৃদ্ধ, নারীদের নৃশংসভাবে হত্যা করছে। আরববিশ্ব রাজনৈতিক কারণে কথা বলছে না। জায়োনিস্টরা জ্ঞানের জায়গায় বিচরণ করছে। আমাদেরও জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে তাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে।

উপ উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা ছাত্রজীবন থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারিনি। মানব সভ্যতায় ইতিহাসে এমন হত্যাজজ্ঞ পৃথিবীর আর কোথায় ঘটেনি। পৃথিবীর ১৪৮টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও জাতিসংঘ কেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না? আরবলীগ, ইসলামী সহযোগী সংস্থাকে (ওআইসি) দ্রুত ফিলিস্তিনের পক্ষে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় এসব সংস্থা ভেঙ্গে দিতে হবে।  

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, গাজায় যে আক্রমণ হচ্ছে তা আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আন্তর্জাতিক মহল সকল বিষয়ে সরব কিন্তু ফিলিস্তিনের সময় তারা নিরব কেন? বিজ্ঞান দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে শক্তিশালী জনসম্পদ তৈরি করতে হবে। পুরো পৃথিবী থেকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে হবে। মানবতাবিরোধী কাজ যেখানেই হবে সেখানেই আমরা প্রতিবাদ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৫
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।