রাওয়ালপিন্ডিতে ৮ উইকেটের দাপুটে জয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করল দক্ষিণ আফ্রিকা। কেশব মহারাজ ও সাইমন হার্মারের স্পিনেই মূলত সফরকারীদের এই জয় নিশ্চিত হয়।
চতুর্থ দিনে সফরকারীরাই সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে খেলা শুরু করে, পাকিস্তান তখন কার্যত ৪ উইকেটে ২৩ রানে পিছিয়ে ছিল। তবে একপ্রান্তে সেট ব্যাটার বাবর আজম ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তানি ভক্তদের আনন্দে ভাসিয়ে দিনের শুরুতেই তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন এবং দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেন। কিন্তু এর তিন বল পরেই, হার্মার এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন।
মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে লেগে বল প্যাডে লেগে শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে জমা পড়লে হার্মার তার পঞ্চম উইকেটের দেখা পান। কয়েক ওভার পর নোমান আলি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে হারমার তার ১০০০তম প্রথম শ্রেণির উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। টানা তৃতীয় ডাক মেরে শাহিন আফ্রিদি রান আউট হলে স্বাগতিকদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে ওঠে।
দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর, সালমান আলি আগা সুইপ ও রিভার্স সুইপ খেলে দুটি বাউন্ডারি তুলে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু মহারাজের বল টেনে স্টাম্পে এনে বোল্ড হলে তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। এরপর বাঁহাতি এই স্পিনারই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দেন। তার তীব্রভাবে ঘুরে যাওয়া একটি বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন সাজিদ খান এবং পাকিস্তান ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।
৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মার্করাম শুরু থেকেই নোমান আলি, সাজিদ খান ও আসিফ আফ্রিদির স্পিন ত্রয়ীকে সুইপ এবং রিভার্স সুইপ খেলে বাউন্ডারিতে পাঠাতে থাকেন। জয়ের জন্য মাত্র চার রান বাকি থাকতে, মার্করাম (৪২) সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। এরপর ট্রিস্টান স্টাবস স্লিপে ক্যাচ দেন। মার্করামকে ভালো সঙ্গ দেওয়া রিকেলটন (২৫*) শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন এবং ছয় মেরে স্টাইলিশভাবে খেলা শেষ করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ৩৩৩ ও ১৩৮ (বাবর আজম ৫০, সালমান আগা ২৮; সাইমন হার্মার ৬-৫০, কেশব মহারাজ ২-৩৪) দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৪ ও ৭৩/২ (এইডেন মার্করাম ৪২, রায়ান রিকেলটন ২৫*; নোমান আলি ২-৪০) ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী।
এমএইচএম