অবশেষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন নিয়ে চলমান অচলাবস্থার অবসান হয়েছে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় বসছে এসিসির গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক।
প্রধান পাঁচ পূর্ণ সদস্য—ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান—মিলে নানা ইস্যুতে এক ধরনের সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত এশিয়া কাপ নিয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এশিয়া কাপ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সংরক্ষিত সময় রাখা হয়েছে।
এজিএম উপলক্ষে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি ও পিএসএল সিইও সালমান নাসির। আফগান বোর্ডের প্রতিনিধিরাও ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা।
শুরুতে সভার কোরাম নিয়ে সংশয় থাকলেও সেটিও এখন কেটে গেছে। সভা আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সদস্য উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—ভারতের বোর্ড (বিসিসিআই) প্রতিনিধি সরাসরি অংশ নেবেন কি না। অনুমান করা হচ্ছে, তারা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হতে পারেন।
এজিএমের এজেন্ডা নিয়েও শুরুতে মতানৈক্য ছিল। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা সদস্যদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পৌঁছায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত এই ইস্যুতেও সমঝোতা হয়েছে।
সভায় এসিসির ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হবার কথা থাকলেও, সেটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুবাশির উসমানি ও মালয়েশিয়ার মাহিন্দা ভাল্লিপুরাম ছিলেন এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি আমিনুল ইসলাম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই আয়োজন নিয়ে বিসিবি কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াতে চায় না।
তিনি বলেন, “এসিসি আমাদের জিজ্ঞেস করেছিল আমরা এজিএম আয়োজন করতে চাই কিনা। আমরা রাজি হয়েছি। পুরো আয়োজন এসিসির, আমরা কেবল লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছি। ”
ভারত বা শ্রীলঙ্কা সভায় অনুপস্থিত থাকলে তা বাংলাদেশ-এই দুই দেশের ক্রিকেট সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে কিনা—এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতির জবাব, “আমি মনে করি না, এতে কোনো প্রভাব পড়বে। ক্রিকেটের সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আমরা কেবল একজন স্বাগতিক। ”
এমএইচএম