ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এবার দ্বিতীয় এফআইআরে নাম উঠে এলো আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার ইয়াশ দয়ালের। জয়পুরের সাঙ্গানেড় সদর থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক কিশোরী, যিনি দাবি করেছেন: ২০২৩ সালে যখন তিনি নাবালিকা ছিলেন, তখন একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন দয়াল।
এ অভিযোগ সামনে এসেছে এমন সময়, যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম থানায় আরেক নারী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেখানে ওই নারী দাবি করেন, ইয়াশ দয়াল তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেও শেষপর্যন্ত তাকে বিয়ে না করে ‘জীবন নষ্ট’ করেছেন।
সাঙ্গানেড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিল কুমার জয়মান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, বুধবার দায়ের করা মামলায় দয়ালের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। মামলা হয়েছে নতুন ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী। যার ৬৪ ধারায় উল্লেখ আছে, ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে এরকম অপরাধ করলে। সঙ্গে প্রযোজ্য পকসো (POCSO) আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, সর্বশেষ অভিযোগকারী কিশোরী দাবি করেছেন, ২০২৩ সালে তার বয়স ছিল ১৭। সেই সময় ইয়াশ দয়াল তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে প্রথমে তাকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে আইপিএলের জন্য জয়পুরে অবস্থানকালে আবারও তাকে হোটেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ওসি জয়মান বলেন, ‘প্রায় দুই বছর আগে থেকে অভিযুক্ত তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে। চলতি বছরও একই ঘটনা ঘটে। ’
পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী নিজেই অভিযোগ জানানোর পর দ্রুত মামলাটি রেকর্ড করা হয় এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। শিগগিরই তার পূর্ণ জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
উল্লেখ্য, গাজিয়াবাদ মামলায় গত ১৫ জুলাই এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইয়াশ দয়ালের গ্রেফতার স্থগিত করে আদেশ দেয়। আদালত বলেন, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
আরইউ