ভারতীয় উপমহাদেশে স্কোয়াশ এক সময় ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সম্মানিত একটি খেলা। তবে সময়ের বিবর্তনে এবং পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ খেলা হারাতে বসেছিল তার অতীত ঐতিহ্য।
এই চুক্তির মূল ভিত্তি হিসেবে রয়েছে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক ও সুপরিকল্পিত ক্রীড়া অবকাঠামো, যা দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে এরই মধ্যে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় দেশের স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সব আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে, যা তাদের শারীরিক, মানসিক ও প্রযুক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়ক হবে।
এ অংশীদারিত্বের প্রথম বাস্তব রূপ হতে যাচ্ছে ‘৫ম জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫’। বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের আয়োজনে এবং বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সার্বিক সহায়তায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি উর্মি গ্রুপ ও তুরাগ একটিভ থাকছে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। আঞ্চলিক পর্বে দেশের ২৫টি প্রতিষ্ঠানের ১৮০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে বাছাইকৃত ৮০ জন খেলোয়াড় অংশ নেবেন চূড়ান্ত পর্বে, যা শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে। এবারের আসরের খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে।
চূড়ান্ত পর্বের খেলা বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির আধুনিক ইনডোর কোর্ট ছাড়াও ইনডিপেনডেন্স ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্স, শাহীন কলেজ এবং আর্মি অফিসার্স মেস-এ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতাটি ৯টি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উন্মুক্ত পুরুষ, উন্মুক্ত নারী, উন্মুক্ত মেম্বার এবং বয়সভিত্তিক বিভিন্ন বিভাগ।
গত শনিবার বিকেলে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির জুলকান ইনডোর এরিনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মোহসিনুল করিম এবং স্কোয়াশ ফেডারেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় স্কোয়াশে আমরা একটি নতুন বিপ্লব ঘটাতে চাই। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ফেডারেশন চারশ’রও বেশি খেলোয়াড় তৈরি করেছে এবং আসন্ন এসএ গেমসেও প্রতিযোগিরা অংশ নেবেন। তাঁর মতে, দেশের তরুণদের প্রতিভা বিকাশে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পরিচালক মেজর (অব.) মোহসিনুল করিম বলেন, দেশের খেলাধুলার বিকাশে এটি একটি বড় আয়োজন। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ আগ্রহ ও নির্দেশনায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের ফুটবলের মতো স্কোয়াশকেও বিশ্বমানে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এ চুক্তি করা হয়েছে।
এআর/জেএইচ