বাংলাদেশের কুস্তি অঙ্গনে রচিত হলো নতুন এক ইতিহাস। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রথমবারের মতো কুস্তিতে নারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শিরিন সুলতানা।
এশিয়ান ইয়ুথ গেমস, ইসলামিক সলিডারিটি গেমস ও সাউথ এশিয়ান গেমস, এই তিনটি বড় আন্তর্জাতিক আসর আসছে সামনে। এগুলোকে সামনে রেখে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলছে জাতীয় কুস্তি দলের অনুশীলন ক্যাম্প। ৫২ জন কুস্তিগীরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কোচ শিরিন।
প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা এবং বিকেল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত চলে কঠোর অনুশীলন। এখান থেকেই গঠন করা হবে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত দল।
শিরিন বলেন, ‘ইতিহাসের অংশ হতে কার না ভালো লাগে! আমি গর্বিত যে দেশের কুস্তির ইতিহাসে প্রথম নারী কোচ হতে পেরেছি। ’ সাবেক এই কুস্তিগীর কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্বকে দেখছেন এক নতুন চ্যালেঞ্জ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে।
২০০৯ সালে কুস্তির সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিরিন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছিল তার সমান পদচারণা। ২০১২ সালে ইন্দো-বাংলা রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৫ কেজি ওজনশ্রেণিতে জিতেছিলেন স্বর্ণপদক। ২০১৬ সালে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে ৬৮ কেজিতে পেয়েছিলেন রৌপ্যপদক। পরের বছর আজারবাইজানের বাকুতে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে অর্জন করেন ব্রোঞ্জ। ২০১৮ সালের গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে হয়েছিলেন চতুর্থ। অংশ নিয়েছেন এশিয়ান ইনডোর অ্যান্ড মার্শাল আর্টস গেমসেও। ২০১৯ সালে কুস্তির মাদার থেকে বিদায় নেন তিনি।
খেলোয়াড়ি জীবনের অভিজ্ঞতা ও অর্জনকে কাজে লাগিয়ে এখন তিনি তৈরি করছেন নতুন প্রজন্মের কুস্তিগীরদের। কোচ হিসেবে সম্পন্ন করেছেন সলিডারিটি কোচেস কোর্স লেভেল-২।
বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের আশা, শিরিন সুলতানার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও নেতৃত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কুস্তিগীরদের অনুপ্রাণিত করবে এবং দেশকে এনে দেবে নতুন সাফল্য।
এআর/আরইউ