জাবি: রাজধানীসহ দেশজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গু সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারণা চালানোর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। সেই লক্ষ্যে ডেঙ্গু সচেতনতায় আলোচনা সভার আয়োজন করে বসুন্ধরা শুভসংঘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সপ্তম ছায়া মঞ্চে এ আলোচনা সভা হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মায়িশা যাহীন বলেন, ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার এবং জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। এ মশার ডিম দুই বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে। তাই আমাদের আশপাশে থাকা যে কোনো পানির পাত্র, ফুলের টব, ব্যবহারহীন ড্রাম, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা কিংবা প্লাস্টিক প্যাকেট এসবই এডিস মশার প্রজননের আদর্শ জায়গা। এজন্য আবাসিক হলের কোথাও পানি জমেছে কিনা সেটা আমাদের তদারকি করতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
আলোচনা সভায় বসুন্ধরা শুভসংঘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহজাবিন আফরোজ বলেন, ডেঙ্গুর কারণে প্রতি বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীকে ভুগতে হয় এবং এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সচেতন হওয়া। মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। ঢাকায় গেলে দৃষ্টি রাখতে হবে, মশার কামড় খাচ্ছেন কিনা। তাছাড়া যদি কারো ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেয়, তখন অবহেলা না করে যেতে হবে চিকিৎসাকেন্দ্রে। জাহাঙ্গীরনগর চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সরবরাহ করা হয়।
এসময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কিছু উদ্যোগ নিয়েছে।
জনসচেতনতায় লিফলেট বিতরণ, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কি কি করা উচিত, সেটা জানার জন্য একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন এবং প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মশা তাড়ানোর ক্রিম অডোমস সরবরাহের সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা শুভসংঘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সানজিদা পারভীন, নারীবিষয়ক সম্পাদক প্রত্যাশা রানী, সদস্য মহসীন আলীসহ অনেকে।
এসআই