যশোর: যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রায় সাত কোটি টাকার চেক জালিয়াতি মামলার প্রধান আসামি ও শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) গভীর রাতে যশোরের উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ তদন্তে নয়টি চেকে ঘষামাজা করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্তে নামে বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তখন ৩৮টি চেকের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া যায়। বিষয়টি সামনে আসার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করে।
মামলায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সহকারী হিসাবরক্ষক আব্দুস সালাম এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন আব্দুস সালাম, শরিফুল ইসলাম বাবু, আশরাফুল আলম (শেখহাটি জামরুলতলা), গাজী নূর ইসলাম (পোস্ট অফিসপাড়া), রুপালী খাতুন (প্রত্যাশা প্রিন্টিং প্রেস, বড় বাজার), সহিদুল ইসলাম (উপশহর ই-ব্লক), রকিব মোস্তফা, আবুল কালাম আজাদ (সহকারী মূল্যায়ন কর্মকর্তা), জুলফিকার আলী (নিম্নমান সহকারী), মিজানুর রহমান (চেক ডেসপাসকারী) ও কবির হোসেন।
তবে চার্জশিটে শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলার সব আসামিই তখন থেকে পলাতক ছিলেন।
সম্প্রতি আব্দুস সালাম নিজ এলাকায় ফেরার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, আব্দুস সালাম স্পেশাল মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর হঠাৎ এলাকায় ফিরে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) তাকে আদালতে সোপর্দ করার কথা।
এসএইচ