মাদারীপুরে প্রাইভেটকারসহ আন্তঃজেলা দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর পুলিশ। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
এর আগে শনিবার (৯ আগস্ট) পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চক্রটির মূল হোতা হামিদুল ও নন্দীপাড়া থেকে তার সহযোগী রাজিব কাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক হামিদুল হাওলাদার (৩২) পটুয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর হাজীখালী গ্রামের মৃত আওয়াল হাওলাদারের ছেলে ও রাজিব কাজী (২৮) একই উপজেলার নন্দীপাড়া গ্রামের জসীম কাজী ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছানের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে, ডিবির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল হুদা এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাকিবের সমন্বয়ে গঠিত টিম পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চক্রটির মূল হোতা হামিদুলকে গ্রেপ্তার করে। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। হামিদুলের দেওয়া তথ্যমতে তার সহযোগী রাজীব কাজীকে পটুয়াখালীর নন্দীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রাইভেটকার, ৪৯,৫০৮ টাকা, চাকু, হাতুড়ি ও প্লাস জব্দ করা হয়।
এছাড়াও পলাতক আসামি জিএমপি, গাজীপুর কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত মানিক মিয়া ও সোহাগ মিয়া দুজনের বাড়ি ময়মনসিংহ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যরা পটুয়াখালী থেকে ময়মনসিংহ এবং ঢাকা থেকে কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রোড ডাকাতি করে বেড়ায়। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন পৌনে ৭টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের ডিন শহিদুল ইসলাম ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে লেবুখালি বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এসময় স্ট্যান্ডে থাকা একটি প্রাইভেটকারে ওঠেন। মূলত, প্রাইভেটকারটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের। এসময় যাত্রীবেশে তিন ডাকাত সদস্য ওই গাড়িতে ছিলেন।
পরে গাড়িটি বরিশালের গৌরনদী এসে পৌঁছালে গাড়িতে থাকা চারজন দড়ি দিয়ে ভিকটিম শহিদুল ইসলামের হাত ও পা বেঁধে ফেলেন। ডাকাতচক্র তার চোখ ও মুখ স্কচটেপে মুড়িয়ে দিয়ে মহাসড়কে বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকে। দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রথমে তার কাছে থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে আরও ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। রাত সাড়ে ১০টার সময় হাত পা বাঁধা অবস্থায় তাকে রাজৈর থানাধীন টেকেরহাটে ফেলে রেখে চক্রটি পালিয়ে যায়। গত ১৯ জুন এ ঘটনায় রাজৈর থানায় একটি মামলা হয়। পরে অভিযানে নামে পুলিশ।
আরএ