ভোলার চরফ্যাশনে সংখ্যালঘু পরিবারের দুই ভাইকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলার মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে প্রধান তিনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল জজ শওকত হোসাইন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- বেল্লাল হোসেন, সালাউদ্দিন বয়াতি ও শরিফুল ইসলাম। এদের মধ্যে শরিফুল কারাগারে থাকলেও বেল্লাল ও সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- আবুল কাশেমও আবু মাঝি। এদের মধ্যে কাশেমকে পাঁচ মাস ও আবুকে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যা মামলার রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হযরত আলী হিরণ বলেন, এটি চরফ্যাশন উপজেলার একটি ঐতিহাসিক রায়। এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে দেশে এখনও ন্যায়বিচার বিদ্যমান।
একই সঙ্গে মামলার রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদীপক্ষের লোকজনও। তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সুন্দরী খালের পশ্চিম পাশে জামাল ভূঁইয়ার নির্জন বাগানে দুটি মাথাবিহীন, আগুনে ঝলসানো লাশ উদ্ধার করা হয়। কিছুদিন পর একই গ্রামের মহিবুল্লাহর বাড়ির টয়লেটের ট্যাংকির ভেতর থেকে ভিকটিমদের কাটা মাথার খুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, লাশ দুটি চরফ্যাশন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আপন দুই ভাই দুলাল ও তপনের।
ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। জমি বিক্রির টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
এসআরএস