খুলনা: দিন দিন খুলনায় করোনার প্রকোপ বাড়ছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে মারা গেলেন ৪ রোগী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় মো: রকমান (২৫) নামে এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার বাড়ি খুলনার হরিণটানা থানার রায়েরমহল এলাকায়। আগের দিন বুধবার সকাল ৯টায় মারা যান রতিকান্ত ডাকুয়া (৮৫) নামে এক বৃদ্ধ। তিনি নগরীর খালিশপুর থানার গাবতলা এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে ২৫ জুলাই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বাগেরহাটের কচুয়ার আল আমিনের (৩৮)। আর ২১ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে মৃত্যু হয় খুলনার বটিয়াঘাটা থানার স্বপ্নপুরী এলাকার দীপ রায়ের (২৫)।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার এ চিত্রটি উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রæত ছড়াচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের কাছে টেস্টের জন্য রোগী আসছেন কম, সনাক্তও হচ্ছে কম। কিন্ত আক্রান্ত হয়ে যারা আসছেন, তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে রিকভার হচ্ছে কম।
তিনি বলেন, ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি-গায়ে ব্যথার রোগী। অনেকেই মনে করছেন সিজন্যাল ফ্লু। নিজেরা ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন। টেস্টে করাচ্ছেন না। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেই কেবল হাসপাতালে আসছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিন জনই যুবক বয়সের।
খুলনার বাইরে থেকেও করোনা নিয়ে রোগী আসছেন। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও অনেকে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মারাও যাচ্ছেন অনেকে। তাদের ক্ষেত্রে করোনা সনাক্তই হচ্ছেনা। এখনই সতর্কতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমআরএম