বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়ার পর স্বেচ্ছায় নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেছেন তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ১৫টি পরিবার। ৩৪ বিজিবির তত্ত্বাবধানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) প্রথম দফায় ১০টি পরিবার এবং বুধবার (২৩ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় আরও ৫টি পরিবার ফিরে যান। দুই দিনে মোট ৭১ জন তঞ্চঙ্গ্যা নাগরিক সীমান্ত পিলার ৩৭–এর ‘আমবাগান’ এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রবেশ করেন।
রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশ কয়েকটি তঞ্চঙ্গ্যা পরিবার বাংলাদেশে পালিয়ে এসে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় আশ্রয় নেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজ এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস. এম. খাইরুল আলম জানান, দুই দিনে মোট ৭১ জন মিয়ানমার নাগরিককে শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের ওপর কোনো ধরনের বলপ্রয়োগ করা হয়নি।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে এসব পরিবারকে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে বোঝানো হচ্ছিল। পরে তারা রাজি হলে বিজিবির তত্ত্বাবধানে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বিজিবি বলছে, ২২ জুলাই ফেরত যাওয়া পরিবারে সদস্য ছিল ৪৮ জন, আর ২৩ জুলাই ২৩ জন। ঘুমধুম সীমান্তের তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় তারা এতদিন অবস্থান করছিলেন।
এমজে