রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। এ সময় মরহুমাকে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সম্মাননাও।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে মাহরীনের কবরস্থানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খানের পক্ষ থেকে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন মমিনুল ইসলাম, ওআইসি আনিছুজ্জামান, ওসি সি অ্যান্ড এম ইউনিট লালমনিরহাট, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনসহ বিমান বাহিনীর জেসিও পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে মাহরীনের স্বামী মনছুর আলী হেলাল, দুই সন্তান আয়ান রহীদ মিয়াদ চৌধুরী ও আদিল রহীদ মাহিব চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল মাহরীনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মানবিকতা, সাহসিকতা ও দায়িত্ববোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী। নিজের জীবন উৎসর্গ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেভাবে রক্ষা করেছেন, তা চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্লাস চলাকালে পাশের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান এফটি-৭ বিজিআই আছড়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। ধোঁয়া, আগুন ও আতঙ্কের মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জীবন বাজি রেখে এগিয়ে যান মাহরীন চৌধুরী।
শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই আগুনে আটকে পড়েন। শরীরের অধিকাংশ অংশ দগ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। ওইদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমজে