মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) উদ্যোগে প্রিন্সিপালস অ্যান্ড প্রসেসেস অব কোয়ালিটি টি ম্যানুফ্যাকচারিং সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন হয়েছে। গুণগতমানসম্পন্ন চা উৎপাদন, নানান বৈশিষ্ট্যের চা সম্পর্কে ধারণা, প্রতিটি চায়ের প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন প্রভৃতি বিষয়ের ওপর ছয় দিনব্যাপী থিউরিক্যাল এবং প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ কোর্স চলেছিল।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে কোর্সের সমাপনী দিনে বিটিআরআইর সেমিনার রুমে এই ৩৯ জন প্রশিক্ষার্থীর হাতে এ সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এই কোর্সের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের (পিডিইউ) পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিটিআরআইর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজ, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাসুদ রানা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালি বুনার্জী, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. অপু বিশ্বাস, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শোভন কুমার পাল প্রমুখ।
ছয় দিনব্যাপী এই কোর্সের চূড়ান্ত মূল্যায়নে ‘প্রথম স্থান’ অর্জন করেন নেপচুন চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মুহিত শেখ। যৌথভাবে ‘দ্বিতীয় স্থান’ অর্জন করেন বালিশিরা টি ফ্যাক্টরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মাসুদ হাসান এবং ভাড়াউড়া টি ফ্যাক্টরির অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মশিউর রহমান।
‘তৃতীয় স্থান’ অর্জনকারী তিন জনব্যক্তি হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পার্থিব বড়ুয়া, বুরজান চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হুমায়ুন কবির এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাথির মোহাম্মদ।
এই প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট কোর্সে চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, উত্তরাঞ্চলের চা বাগান উদ্যোক্তা, পঞ্চগড়ের ক্ষুদ্র চা চাষি, টি ব্রোকার্স প্রতিনিধি, এবং চা উৎপাদন বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিরাও অংশ নেন।
গত শনিবার বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরোয়ার হোসেন গুণগতমানসম্পন্ন চা উৎপাদনবিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন।
বিবিবি/এএটি