গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সহিংসতায় নিহত চার যুবককে সমাহিত করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা তাদের সমাহিত করেন।
তবে তাদের লাশগুলোর সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকার উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক রেজা বলেন, এ ঘটনায় পর্যায়ক্রমে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এসব বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে অন্যান্য প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হবে।
নিহতদের মধ্যে জেলা শহরের উদয়ন রোডের পোশাক ব্যবসায়ী সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহাকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়।
শহরের থানাপাড়া এলাকার কামরুল কাজীর ছেলে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে বুধবার এশার নামাজের পর দাফন করা হয়।
এছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী টুঙ্গিপাড়ার ইন্দ্রিস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ও ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদারকে বৃহস্পতিবার সকালে গেটপাড়াস্থ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ চারজন গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবার অভিযোগ করেছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গুলি লাগার পর চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে দিনভর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। সংঘর্ষে নিহত হন চারজন। নয়জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিসক শেখ মো. নাবিল জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ চারজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এসআই