যশোর: পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা কমিটির আহ্বায়ক রাশেদ খান। সোমবার দিনগত রাত দুটো চার মিনিটে নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
পাশাপাশি রাশেদ খান এনসিপি ও এর ছাত্র বা যুব সংগঠনের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা না রাখার কথা জানিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে রাশেদ লেখেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যশোর জেলার ‘আহ্বায়ক’ পদ থেকে আমি স্বেচ্ছায় অব্যহতি নিচ্ছি; এবং একই সাথে NCP ও এর ছাত্র কিংবা যুব উইং এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ’’
গভীররাতে তার এই সিদ্ধান্তে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তবে রাশেদের নিকটজনরা জানতেন, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান রাজনীতির ধারা তার মোটেই পছন্দ হচ্ছিল না।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর রাশেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গড়ে ওঠার আগে যবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকে তিনি যশোর জেলা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। তার সংযত আচরণ ও ধীর-স্থির সিদ্ধান্ত সবমহলের প্রশংসা কুড়ায়।
বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যশোরে হাজার হাজার তরুণ যোগ দিলেও সমন্বয়কের কৌশলি পদক্ষেপে এখানে তেমন রক্তপাত হয়নি।
আন্দোলন চলাকালে শিল্পী রাশেদ খান ফ্যাসিবাদবিরোধী অসংখ্য পোস্টার-ফেস্টুন নিজহাতে তৈরি করেন। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তার তত্ত্বাবধানে যশোর শহরের দেয়ালগুলোতে প্রচুর গ্রাফিতি আঁকা হয়।
মাঝরাতে তার পদত্যাগের ঘোষণায় সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন।
রাশেদ খানের পদত্যাগে যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বড় ধরনের সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে সংগঠনটির কর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা বলছেন।
এসএইচ