ঢাকা, রবিবার, ২ ভাদ্র ১৪৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

যশোরের সাংবাদিকদের ‘দাদাভাই’ ফকির শওকত গুরুতর অসুস্থ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৫, আগস্ট ১৭, ২০২৫
যশোরের সাংবাদিকদের ‘দাদাভাই’ ফকির শওকত গুরুতর অসুস্থ

যশোর: প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি, যশোরের সাংবাদিকদের ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ ফকির শওকত গুরুতর অসুস্থ। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফকির শওকত শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপশহরে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হঠাৎ তার শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে এবং তিনি প্রায় অচেতন হয়ে যান।

পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ফকির শওকতের কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়েছে। সে কারণে সাথে সাথে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করে নেওয়া হয়।  

কয়েকদিন আগেও ফকির শওকতের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে জানান তার স্ত্রী।  

রোববার যশোর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। তবে, তার অবস্থা পুরোপুরি স্থিতিশীল হলে আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। বর্তমানে তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।  

প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি হওয়ার আগে ফকির শওকত এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা। পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হলে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী আদর্শের ধারায় প্রতিষ্ঠিত হয় সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর।

দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যশোরের অসংখ্য গুণি সাংবাদিক সৃষ্টি করেছেন। সে কারণে জেলার প্রতিষ্ঠিত অনেক সাংবাদিক এখনো তাকে গুরু হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। তিনি ছিলেন যশোরের সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনের পুরোধা পুরুষ। সব সময় সামনে থেকে এসব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যশোরের সাংবাদিকদের কাছে তিনি ‘দাদা ভাই’ হিসেবে পরিচিত।

ফকির শওকত সাংবাদিক হিসেবে দৈনিক স্ফুলিঙ্গ পত্রিকায় থাকাকালীন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে গতিশীল করেছিলেন। পরবর্তীতে এসে তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মালিকানায় দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। এই পত্রিকার প্রসারে তিনি প্রথম দিকে দক্ষিণ-পশ্চিমের জনপথ ঘুরে বেড়িয়েছেন।  

সেখান থেকে বের হওয়ার পর তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস এর যশোর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক প্রভাতফেরী নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন।  

তিনি বাংলানিউজের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টুর বড় ভাই।

এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।