কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় নিজ ঘর থেকে হাফিজ উদ্দিন (৬৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের রিকশাচালক ছেলে আল আমিনকে (২৬) আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার (২২ জুন) দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় হত্যার শিকার হন হাফিজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।
নিহত হাফিজ উদ্দিন পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা গ্রামের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা।
তিনি উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার জালাল মিয়ার বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। একসময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করা হাফিজ উদ্দিন বার্ধক্যজনিক কারণে ভিক্ষা করে আসছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২২ জুন) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাশের রুমের বাসিন্দারা চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন, নিহতের রুম ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায়, রুমের ভেতরে হাফিজ উদ্দিনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পাশেই তার ছেলে বসে আছেন। ছেলে আল আমিনকে আটক করে থানায় আনার পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তিনি তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ছেলে জানায়, তারা বাবা ভিক্ষা করে এটা তিনি মানতে পারছিলেন না। নিষেধ করলেও মানছিলেন না তিনি। এ কারণে গলাটিপে এবং খাটের সঙ্গে মাথা থেতলে বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল আমিন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন
আরএ