মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা এলাকায় যমুনা নদীর স্রোতে ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে কোটি টাকায় নির্মিত ভাঙ্গারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শনিবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে স্কুলটি (বিদ্যালয়) নদীগর্ভে হারিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা যায়, জেলার ওপর দিয়ে পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, ইছামতিসহ ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদী বয়ে গেছে। প্রতি বর্ষার সময় পদ্মা ও যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয় নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের শতশত মানুষ।
গত শনিবার (৭ জুন) দুপুরে দৌলতপুর উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে বাচামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। নদী ভাঙনের কারণে একটি মাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া চর কালিয়াপুর, বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা, রংদারপাড়া, বিষ্ণুপুর, রামচন্দ্রপুর, আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া, চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার, চরকাটারি সবুজসেনা হাইস্কুল, চরভারাঙ্গা সরকারপাড়া, মজম শেকেরপাড়া, বাচামারা পশ্চিমপাড়া, উত্তরখন্ড, সুবুদ্ধি, পাচুরিয়া, বাঘুটিয়া বাজার, পারুরিয়া বাজার, রাহাতপুর, বৈন্যাঘাট, লাউতাড়া, লাউতাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্র, চকবাড়াদিয়া, চকমিরপুর, ভাঙা রামচন্দ্রপুর, রামচন্দ্রপুর নতুনপাড়া, হাতকোড়া, চরমাস্তল, বিষ্ণুপুর খাঁপাড়া ও পারমাস্তলসহ অন্তত ২৮টি এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে।
অপরদিকে কিছু স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ভাঙনকবলিত ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াজেদ আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বেড়েছে, স্রোতও বেশি। গতবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে স্কুলটি। তবে এবার একেবারে বিলীন হয়ে গেল যমুনা নদীর গর্ভে। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেন বলেন, স্কুলটি বিলীন হওয়ার একদিন আগে জানতে পারি, ভবনটি ঝুঁকিতে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে শুনলাম স্কুলটি নদীতে তলিয়ে গেছে।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলছি।
এসআই