ঢাকা, শনিবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

খালেদা জিয়া রক্ষা না করলে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে মুছে দিত: টিপু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:২৪, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫
খালেদা জিয়া রক্ষা না করলে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে মুছে দিত: টিপু

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাইফুল ইসলাম টিপু বলেছেন, বিএনপি সব সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে সরে এসে অন্য দলগুলোকে রক্ষা করেছে। তিনি দাবি করেন, খালেদা জিয়া যদি তার আঁচলের নিচে জামায়াত ইসলামকে আশ্রয় না দিতেন, তবে আওয়ামী লীগ অনেক আগেই জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করে দিত।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউনিয়নের ভাটুপাড়া এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু বলেন, আমার নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করেননি। তারা সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আমরা সংঘাত চাই না, চাই জনগণের ঐক্য। এই ঐক্যের শক্তিতেই আমরা বিজয়ী হবো। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের দমাতে পারবে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ধরে বিএনপিকে জেলে দিয়েছে, গুম করেছে, হত্যা করেছে; কিন্তু দমন করতে পারেনি। বিএনপি সব সময় অন্য দলগুলোকে রক্ষা করেছে। জিয়াউর রহমান যদি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে না দিতেন, তবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকত না। আর তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে জামায়াত ইসলামসহ কোনো দল রাজনীতি করার সুযোগই পেত না।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে টিপু বলেন, আগামী নির্বাচন সহজ হবে না। ভারত, চায়না, পাকিস্তান, রাশিয়া— সব শক্তি এক হয়ে ষড়যন্ত্র করবে। কিন্তু আমরা ভয় পাই না। অতীতেও তারা এক হয়েছিল, তবু জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এবারও আমরা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাবো।

সভায় তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্রদল, যুবদলকে আরও সংগঠিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মই বিএনপির আসল শক্তি। তরুণদের কাঁধেই আগামী দিনের রাজনীতির দায়িত্ব।

পরে তিনি রাত পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার, গ্রাম ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণা চালান, গণসংযোগ করেন এবং উঠান বৈঠকে অংশ নেন। স্থানীয় জনগণ তার প্রতি সমর্থন জানায় এবং আসন্ন নির্বাচনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র শরিফুল ইসলাম লেলিন, পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম সরকারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এমজে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।