ঢাকা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিবছর রোডক্র্যাশে নিহতের সংখ্যার মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর ঢাকায় যানজট একটি মারাত্মক সমস্যা।
রোববার (১৮ মে) দুপুরে অষ্টম ইউএন গ্লোবাল রোড সেফটি উইক উদযাপন উপলক্ষে ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে ইয়ুথ ক্যাম্পেইন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।
বিশ্বজুড়ে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সড়কে অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতি দুই বছর পর সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করে থাকে। এবার সপ্তাহটির প্রতিপাদ্য- জীবনের জন্য সড়ক: ‘হাঁটা ও সাইকেল চালানো নিরাপদ করা’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, আমাদের সবার হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ এতে যেমন স্বাস্থ্যের উপকার হয় তেমনি পরিবেশ ভালো থাকে। এছাড়াও চিকিৎসা ব্যয় এবং রোডক্র্যাশ হ্রাস হয়। এজন্য সব সরকারি-বেসরকারি সেক্টর এবং তরুণদের একযোগে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন, সরকারের স্ট্রাটেজিক পরিকল্পনার মধ্যে হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর পরিবেশ তৈরি করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজু, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজন ও বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ মেহেদী দীপ্ত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি ইফতিখার আহমেদ সাকিব, আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত তরুণ সদস্যরা প্রধান অতিথির হাতে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন দাবি সংক্রান্ত স্মারকলিপি পেশ করেন।
এমএমআই/এএটি