ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করছে: জেপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৫, জুলাই ১৭, ২০২৫
ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করছে: জেপিবি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করছেন জেপিবির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন।

ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনার সংস্কৃতি তৈরি করলেও বর্তমানে তা রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে নতুন রাজনৈতিক দল জনতা পার্টি বাংলাদেশ (জেপিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর ইস্কাটনে জেপিবির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলটির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন।

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, ঐকমত্য কমিশন আলোচনার সংস্কৃতি তৈরি করলে ও বর্তমানে তা রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করেছে। গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের বাইরে রেখে এক ধরনের ‘এলিট সংস্কারে তারা ব্যস্ত’। জুলাই সনদের নামে বর্তমান সরকারের বৈধতামূলক একটা স্বীকৃতি সনদ জন্ম করানোই যেন মূল লক্ষ্য। এজন্যে কখনও বিএনপি, কখনও জামায়াতের বা এনসিপির কাঁধে ভর করা, মব জাস্টিসের ওপর নির্ভর করে বিভাজন সৃষ্টির চক্রান্তও পরিলক্ষিত হয়।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য দেশের বর্তমান অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা সাধারণ আপামর জনতাকে চরমভাবে হতাশ করেছে, কারণ অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক অস্থিরতা, বিদেশি বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত সাফল্য দেখতে পারেনি। সংস্কার সাধনের ক্ষেত্রে ধীরগতি আজকের জনমনে প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে। তদুপরি বিগত স্বৈরাচারের সহযোগীরা এখন বিচারালয় ও প্রশাসনে বহাল আছেন।

ঐকমত্য কমিশন ‘এলিট সংস্কারে ব্যস্ত’, বলতে কি বুঝিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জেপিবির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, আমরা ঐকমত্য কমিশনে চিঠি দিয়েছিলাম এবং সরকারের কাছেও চিঠি দিয়েছিলাম আমাদের দল আত্মপ্রকাশের পর। আমরা ঐকমত্য কমিশনের কাছে আমাদের আমাদের সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর ওপর নিজেরা মিটিং করে আমরা একটা সুপারিশমালা তৈরি করেছিলাম। ঐকমত্য কমিশন বলে যে অনিবন্ধিত দলকে ডাকা হবে না। কিন্তু সেখানে অনিবন্ধিত দলকেও কিন্তু ডাকা হয়েছিল। আমরা আমাদের বক্তব্যটা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বিএনপি বা জামায়াত যে দলগুলোর নাম দেয়, সে দলগুলোকেই ডাকা হয়। সে জায়গায় আমরা মনে করি, ঐকমত্য কমিশন বৈষম্য সৃষ্টি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল হক হাফিজ, এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুদার রাজা, সমন্বয়কারী নুরুল কাদের সোহেল উপস্থিত ছিলেন।

এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ