ঢাকা, শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৭, জুলাই ১৭, ২০২৫
নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘জুলাই আগস্টের ঐতিহাসিক বীর শহীদদের স্মরণে’ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: বাংলানিউজ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পরই গোলমাল শুরু হয়েছে। অর্থাৎ এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া যায় না।

কিন্তু দেখবেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘জুলাই আগস্টের ঐতিহাসিক বীর শহীদদের স্মরণে’ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। গণতন্ত্রে যেন উত্তরণ না ঘটে, তার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং বিভিন্নভাবে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে। এমনকি আমার নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষার কথা বলেছে।

তিনি বলেন, কেন?... কারণ ভয়। তারা ভয় পেয়েছে। তারেক রহমান ইতোমধ্যে জাতীয় নেতা হয়ে গেছেন। সুতরাং তিনি যদি ফিরে আসেন, তাহলে তারা যাবে কোথায়? আমি তাদের আশ্বাস দিতে পারি, আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি ইজ ডেমোক্রেসি, বিএনপি ইজ ফ্রিডম, বিনপি ইজ ডেভেলপমেন্ট। ভবিষ্যতে আমরাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের চরম শিখায় নিয়ে যাব। ওরা ফাঁদ পেতেছে আমরা যেন বিরোধ করি। যেন গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হয়।  

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া রেইনবো নেশন তৈরির জন্য ভিশন-২০৩০ দিয়েছিলেন। আজ আমেরিকাসহ বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে আসা পণ্ডিতেরা যেসব কথা বলছেন, সেসব বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ তে বলেছিলেন। সেখানে আজকের সংস্কারের কথাগুলো ছিল।

এদেশের যা কিছু মহান অর্জন, তা বিএনপির হাতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ঘোষণা যিনি দিয়েছিলেন, তিনি আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। বাকশাল থেকে প্রথম যে রাজনৈতিক সংস্কার করা হলো, একটি মুক্ত বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলো, এটি জিয়াউর রহমান করেন। তিনি সমস্ত সংবাদপত্র স্বাধীন করে দিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান ৪টা সরকারি পত্রিকা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্টরা দেশকে এভাবেই গোলাম বানিয়ে রেখেছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম খান আলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।

এফএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।