বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ মনে করেন, বাংলাদেশ এখনো যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়নি, সেটি প্রমাণ করে গোপালগঞ্জের ঘটনা।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন করেছেন, আপনারা একটি জেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আইনের আওতায় না আনলে গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে বাধ্য করবো।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ওপর গোপালগঞ্জের হামলা প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখনো নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হয়নি। গোপালগঞ্জের হামলা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের শেষ চিহ্ন এখনো রয়ে গেছে। প্রশাসন কেন ব্যর্থ হলো তার জবাব অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে হবে। গোপালগঞ্জকে অরক্ষিত রেখে নির্বাচন করার দুঃসাহস আপনাদের দেখানোর কথা না। অবিলম্বে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার প্রেতাত্মাদের এই হামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। আমাদের এই বাংলাদেশকে সুসংগত করার জন্য। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রশাসন আমাদের বুকে গুলি চালাতে দ্বিধা করেননি। অথচ এখানে নীরব কেন?
ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, গোপালগঞ্জ কিন্তু ভারতের অংশ না এটি বাংলাদেশেরই অংশ। অবিলম্বে গোপালগঞ্জে হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আজকে গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর কীভাবে হামলা করা হয়েছে। হাসিনা পালিয়ে গেলেও গোপালগঞ্জকে আমরা স্বাধীন করতে পারিনি। অবিলম্বে সারা বাংলাদেশ থেকে গোপালগঞ্জ অভিমুখে পদযাত্রা করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মারুফুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ধানমন্ডি থানার আমির রাশেদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
ডিএইচবি/এমজে