জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, সংগঠনের মধ্যে শৃঙ্খলা না থাকলে এনসিপি টিকবে না, আর থাকলে তিন মাসেই সদস্য সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াবে। তার ভাষায়, শৃঙ্খলা না মানলে এক বছর পর কেউ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পুনর্গঠন এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, আমাদের শৃঙ্খলায় একটি চেইন অব কমান্ড থাকা অত্যাবশ্যক। এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটি ইউনিট সঙ্গবদ্ধ হবে। যদি অন্তর দ্বন্দ্ব ও বিভাজন কাটিয়ে ওঠা যায়, তবে আমাদের ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ও কোয়ালিটি যেকোনো দলের ছাত্র সংগঠনের চেয়ে বেশি হবে।
তিনি সদস্যদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনারাই আগামীতে সংগঠনকে নেতৃত্ব দেবেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, অন্তর দ্বন্দ্ব এখনও প্রকট। আমরা এই বিভাজন দূর না করতে পারলে এনসিপির ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি জানান, এনসিপি নিশ্চিত করবে, ইউনিট আহবায়ক কমিটিতে কেউ ‘মাই ম্যান’ পলিটিক্স করবে না। আগামীতে ছাত্র সংসদকেও সেই নির্দিষ্ট ইউনিটে নেতৃত্ব দেবে সবচেয়ে যোগ্য, পার্টির প্রতি বিশ্বস্ত এবং আগামীর বাংলাদেশ ও এনসিপির যুব শক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখার মতো মানুষ।
সারজিস আলম বলেন, ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে থেকে যারা নিজের লোভ ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, তাদের এনসিপি বা ছাত্র সংসদে কোনো অবস্থান নেই। আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যথাযথ মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রতিশ্রুত। ২০২৪ সালের লক্ষ্য এখনও পূরণ হয়নি। আমরা সেই অভ্যুত্থান ও বিপ্লব থেকে বের হয়ে গণতান্ত্রিক যাত্রায় পা রেখেছি। আমাদের কাজ বড়, করাপ্টেড সিস্টেমের বিরুদ্ধে। আমরা যেন সিস্টেমে গা না ভাসিয়ে দিই। বাংলাদেশের মানুষেরা আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন করে সিস্টেম তৈরি করি, এটা আপনাদের সবার কাছে আমার আহ্বান।
এমএমআই/এমজে