খুলনা: গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকদের অবরুদ্ধ দশা থেকে নিরাপদে বেরিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা খুলনায় ফিরছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ থেকে মোল্লাহাট হয়ে খুলনায় আসছেন। তারা এখানে আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই বহরে এনসিপি নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ শীর্ষ নেতারা রয়েছেন।
অপরদিকে, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের খুলনায় নিয়ে আসতে নগরীর শিববাড়ি মোড় থেকে মোল্লাহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কয়েক শত নেতাকর্মী। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে খুলনার শিববাড়ি মোড় থেকে বেশ কিছু মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ও পিকআপ যোগে তারা রওনা দেন।
এ সময় এনসিপির অন্যতম সংগঠক আহমদ হামিম রাহাত জানান, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জকে জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের রক্তের রণক্ষেত্র বানিয়েছে। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। খুনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমরা কঠোরভাবে দমন করবো। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে খুলনায় নিয়ে আসার জন্য আমরা মোল্লাহাট যাচ্ছি।
এর আগে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়ি ও ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। দুপুরে তারা গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
তা সত্ত্বেও এনসিপির নেতা-কর্মীরা সেখানে সমাবেশ করেন। কিন্তু সমাবেশ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা আবার এনসিপির গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এ সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
পরে গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় বের হয় এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর। রওয়ানা হয় খুলনার উদ্দেশে।
গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের ন্যক্কারজক হামলা ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিকেলে শিববাড়ি মোড়ে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নানা প্রান্ত থেকে জমায়েত হন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এখানে চলতে থাকে মুর্হুমুর্হু শ্লোগান ও মিছিল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি, ফাহমিদ ইয়াসি, মেনান মুশফিক, ওয়াহিদ অনি, সাইফ নেওয়াজ, তাসনিম আহমেদ, মাহদী হাসান সীন, সানজিদা আক্তার, আলামিন, মাসুদুর রহমান, আব্দুর রহমান, মহররম হাসান মাহিম প্রমুখ।
এমআরএম