ঢাকা: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে পাঁচদিনের সফর অত্যন্ত সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
চীন সফর শেষে শুক্রবার (২৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সফর মূলত রাজনৈতিক ছিল এবং এর মাধ্যমে দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের প্রতিনিধি দল সিপিসির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী সংস্থা পলিটব্যুরোর একজন শীর্ষ সদস্য লিউ হং-এর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে। লিউ হং ন্যাশনাল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বৈঠকটি অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব জানান, সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের দুজন মন্ত্রীর সঙ্গেও তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রতিনিধি দলটি সিয়ান প্রদেশেও সফর করেন, যেখানে তারা পার্টির সেক্রেটারি এবং গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া তারা চীনের কয়েকটি জেলা এবং গ্রামীণ এলাকা পরিদর্শন করেন, যেখানে চীনের দ্রুত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত হয়েছেন।
বিশেষ করে শি জিনপিংয়ের (চীনের প্রেসিডেন্ট) নেতৃত্বে চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই উচ্চতা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের কার্যক্রমে চীনা নেতারা সন্তুষ্ট। বিএনপিও চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং তারা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যতে দুই দলের মধ্যে নিয়মিত রাজনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এই এমওইউ-এর মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য দুই দলের মধ্যে নিয়মিত রাজনৈতিক সংলাপের পথ খুলে যাবে।
ইএসএস/এসআরএস