ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯ সফর ১৪৪৭

রাজনীতি

অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি গঠনের অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৫, আগস্ট ১৪, ২০২৫
অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি গঠনের অভিযোগ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সংবাদ সম্মেলন

অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি গঠনের অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য ইসতিয়াক আজিজ উলফাত। এছাড়া ওই এডহক কমিটিতে অমুক্তিযোদ্ধাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তৃতায় ইসতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, আমি দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ধরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তাদের কাজকর্মের সব বিষয়ে অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপ সংশোধন এবং অনিয়ম বন্ধ করার জন্য জন্য গত ১৩ জুলাই একখানা লিখিত দরখাস্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবর দাখিল করি। অদ্যাবধি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক এ অনিয়ম বন্ধ করা হয়নি। এরপর সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই এডহক কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো মতামত না নিয়ে ৩৯৩ নিউ ইস্কাটন রোড এর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিসে বসে অতি গোপনে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সদস্য মিলে টাকার বিনিময়ে তাদের ইচ্ছা মাফিক জেলা কমিটি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যার মধ্যে অধিকাংশ কমিটি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট দলের সদস্য ও অমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ এবং খুলনা জেলা উল্লেখযোগ্য। আমি এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আরও বলেন, অনতিবিলম্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এহেনও কার্যকলাপ বন্ধ না করলে আমি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনিয়ম ও অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হইব।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিবন্ধিত প্রথম কমিটিও নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত হয়নি। বর্তমান এডহক কমিটির গঠনও নিয়মমাফিক হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মসাৎকৃত টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের টাকা আত্মসাৎকারীদের মধ্যে সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) সৈয়দ মুনিবুর রহমান ছিলেন। অথচ ওই ব্যক্তি পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন। জামুকার দুইজন সদস্য মেজর (অব.) মুনিবুর রহমান এবং সাদেক আহমেদ খান সম্পূর্ণ অনিয়মাতান্ত্রিকভাবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একজন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং একজন সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যেসব জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এবং অমুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমর্থকরা তাদের নাম কমিটি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি মো. মোবারক হোসেন, ওবায়দুল হক ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, শরিফ হোসেন ও শহীদ বাবলু।

ডিএইবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।