ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জুন ২০২৫, ০২ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর মুক্ত পরিবেশে সবাই যার যার ধর্ম পালন করছে: বকুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৮, জুন ২৭, ২০২৫
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর মুক্ত পরিবেশে সবাই যার যার ধর্ম পালন করছে: বকুল

খুলনা: ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর  মুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশে মুক্ত পরিবেশে সবাই যার যার ধর্ম পালন করছে।

গত ১৬ বছর ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে স্বাধীনতা ছিলো না। গণতন্ত্রের পক্ষে কেউ কোনো কথা বলতে গেলে, তাকে বর্বোচিত আক্রমণ সইতে হয়েছে। পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজনদের দিয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের রাজত্ব বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রজনতা সেটি করতে দেয়নি। প্রতিহত করেছে।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়ায় শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব-১৪৩২ বঙ্গাব্দ ধর্মীয় শোভাযাত্রা উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানেই নিজেকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে-এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, বিগত অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকার নিজেদের শাসন-শোষণ থেকে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা এখনো সে চেষ্টা চালাচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু, দল-মত, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এসময় খালিশপুর ও দৌলতপুর এবং খানজাহান আলী থানার বিএনপি'র ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় শোভাযাত্রাটি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া থেকে শুরু হয়ে দৌলতপুর আকাক্সক্ষা টাওয়ার হয়ে বিএল কলেজের পাশ দিয়ে পুনরায় পাবলা বনিকপাড়ায় যেয়ে শেষ হয়। হিন্দু ধর্মের সকল নারী পুরুষ ও শিশু এই শোভাযাত্রা অংশগ্রহণ করেন।

এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ