‘আমি ইসরায়েলকে ভয় পাই না, ভয় পাই বিশ্বের মানবতাহীনতাকে’— কথাটি গ্রেটা থুনবার্গের। সুইডেনের সেই সাহসী তরুণী, যার আহ্বানে তামাম বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষ নৌবহর নিয়ে গাজায় গেছেন।
বাইশ বছরের এই মেয়েটি ছোটবেলা থেকে আন্দোলন করছেন পরিবেশ নিয়ে। এখন গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা দেখে তার হৃদয় কাঁদছে। তাই নিজ দেশে বসে না, অত্যাচারিতদের কাছে গিয়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। অত্যাচারিতদের দিয়েছেন সাহস। যা কিছু করেছেন গ্রেটা, তা তার মানবিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। কোনো পুরস্কার বা প্রতিদানের জন্যে তিনি লালায়িত নন, যার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন।
অন্যদিকে শুধুমাত্র নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যে ইসরায়েল-হামাস শান্তি প্রস্তাব করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ শান্তি প্রস্তাবে নেই কোনো মানবতা। তাই যদি থাকতো তবে সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সমন্বিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে নির্লজ্জের মতো হাত উঁচিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি ভেটো দিতে পারতেন না। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ জন সদস্য গাজায় গণহত্যা বন্ধের পক্ষে সম্মতি দেন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মরগান ওরটাগাস এতে ভেটো দিয়ে নেতানিয়াহু বাহিনীর গণহত্যাকে সমর্থন করেন। বাকি ১৪ জনের পক্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মানবতার পরিচয় দিতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। সেদিনেই গণহত্যায় গাজায় অনেক মানুষ শাহাদত বরণ করেছেন। অথচ তিনি যে নির্বাচনে প্রেসিন্টে হন, তার আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে স্পষ্ট বলেন— তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি থাকতেন তবে গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ হতো না। তার কথায় বিশ্বাস করে প্রচুর সংখ্যক মুসলমান কমলা হ্যারিসকে ভোট না দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। আমি নিজেও আমেরিকান নাগরিক, আমার নিকটজনদের ট্রাম্পকে ভোট দিতে বলেছি। কারণ গাজায় নির্বিচারে গণগত্যা আর সহ্য হচ্ছিল না। কমলা হ্যারিসকে বিশ্বাস করারও কোনো কারণ ছিল না। তিনি তার নির্বাচনী সমাবেশে অনেক ভালো কথার শেষ পর্যায়ে এসে বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। অর্থাৎ কমলা গাজায় গণহত্যাকে প্রকারান্তরে সমর্থন করেছেন। এক্ষেত্রে কমলা হ্যারিস আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভেতর পার্থক্য হলো, ট্রাম্প গাজা নীতি নিয়ে কপটতা করেছেন। কমলা তা করেননি।
সেই ট্রাম্প হঠাৎ করে কেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিলেন, তা বিশ্লেষণের বিষয়। আল জাজিরার এক বিশ্লেষক বলেছেন— এ তো সেই ট্রাম্প, যার অস্ত্রে গাজায় রক্ত ঝরেছে, গণহত্যা হয়েছে। সেই ট্রাম্পই তো এ পদক্ষেপ নিলেন। আর মারিয়া কোরিনা মাচাদো নামে ভেনিজুয়েলার যে নারী শান্তিতে নোবেল পেলেন তাকে নিয়েও কিছু বলার আছে। এ নারী একজন রাজনৈতিক কর্মী। রাজনীতিকদের একেকজনের একেকটা বিশ্বাস থাকে। যেমন বিশ্বাস ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের। তিনি সামরিক বাহিনীর লোক হয়েও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। বিশ্বাস করতেন মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়। তার দেশপ্রেম ছিল প্রশ্নাতীত। সততার প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন। অথচ তা ছিল অপ্রকাশিত। তাহাজ্জুতের নামাজের মতো তিনি তা প্রকাশ করতেন না। এটাই ছিল তার মহানুভবতা।
যে নারী নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন কেমন মানুষ তিনি? এ প্রশ্ন এখন আসাটা স্বাভাবিক। কারণ তিনি এখন একটি বিশেষ দেশের না, সারা বিশ্বের সম্পদ।
এ নারী নিয়ে এখন গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। যেমন করছে পশ্চিমা মিডিয়া তেমন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক মিডিয়াও। মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়া যেমন আল জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, মিডল ইস্ট মনিটর, টিআরটি নিউজ, ইসলাম নিউজ অনলাইন, দ্য ন্যাশনাল, আনাদলু এজেন্সি, ইসলাম চ্যানেল টিভি প্রভৃতি মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করা হয়। তারা নিজ নিজ সরকারের হয়ে অন্যায়ের পক্ষে সংবাদ প্রকাশ করে না। যার কারণে এখন আমরা বিশ্বের অনেক সত্যি জানতে পারছি। পশ্চিমা মিডিয়া যা প্রকাশ করে না। বিবিসি, ফক্স নিউজ, এবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টের মতো খ্যাতিসম্পন্ন মিডিয়া মুসলমান প্রশ্নে সব সময় নেতিবাচক রিপোর্ট করে। বিবিসি তো গাজার গণহত্যার বিরোধিতা করায় কয়েকজন প্রখ্যাত সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আছে সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টিংয়ে। এ দুটি মিডিয়া গাজায় গণহত্যার বিষয়ে অনেক রিপোর্ট করেছে।
আসল কথায় আসি। নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদো নামে ভেনিজুয়েলার যে নারীকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে তিনি আসলে কে? মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা তার সম্পর্কে সত্যিটা জানতে পেরেছি। যারা এসব মিডিয়ায় চোখ রাখার সুযোগ পান না তাদের জন্যে এ নারী সম্পর্কে কিছু সামান্য তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি।
মারিয়া কোরিনা মাচাদো প্যারিসকার জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯৬৭ সালে। তিনি ভেনিজুয়েলার একজন বিরোধীদলীয় নেতা। অর্থনীতিতে মার্স্টার্স এ শিল্পপ্রকৌশলীর রাজনীতিতে হাতেখড়ি সুমাটে নামে একটি নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ সংস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তার দলের নাম ভেনতে ভেনিজুয়েলা। তিনি ভেনিজুয়েলার স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদে সোচ্চার। একই সাথে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক। তিনি বিশ্ব কসাই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থক। তিনি গাজায় গণহত্যার পক্ষে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বর্বতার বিরুদ্ধে হামাসের তরফে প্রতিবাদ হওয়ার পর ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যার ব্যাপারে অকুণ্ঠ সমর্থন জানান তিনি। তাই তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মালা পরিয়ে সম্মানিত করায় আশাহত হয়েছেন মানতবাবাদীরা। প্রকৃত শান্তির পক্ষের মানুষগুলো এর নিন্দা জানিয়েছেন।
এবার আসি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রসঙ্গে। নোবেল পুরস্কারের লিপ্সা থেকে তিনি হঠাৎ করে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তার আনেন। এ প্রস্তাবে ২০টি দফা আছে। দেখা যাক কী আছে এসব দফায়। আল জাজিরা ২০টি দফা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। দফাগুলো বেশ দীর্ঘ। আমি মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
২৯ সেপ্টেম্বর আল জাজিরা এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের শুরুটা এরকম— হোয়াইট হাউজ ২০ দফা প্রস্তার করেছে। যাতে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষ এ প্রস্তাব মেনে নিলে সঙ্গে সঙ্গে গাজার ওপর ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ হবে। যে যুদ্ধে ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিন উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রস্তাব যদি উভয়পক্ষের কাছে গৃহীত হয় তবে গাজায় যেসব জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি বন্দি আছেন, তারা ৭২ ঘণ্টার ভেতর মুক্তি পাবেন। একই সাথে ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। গাজার শাসনভার চলে যাবে টেকনোক্র্যাট সরকারের হাতে। এখানে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। আর ইসরায়েল গাজায় তার সীমানা বাড়াতে পারবে না। অর্থাৎ ইসরায়েল যেভাবে গাজা দখল করে নিচ্ছিল, তা আর পারবে না। প্রস্তাবের মূল বিষয়বস্তু মূলত এটুকু।
আর যা যা বলা হয়েছে, তার ভেতর আছে— গাজা হবে একটি সন্ত্রাসমুক্ত এলাকা, যা প্রতিবেশীর জন্যে হুমকি হবে না। বন্দিমুক্ত হলে ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। এ সময়ে সব ধরনের সেনা অভিযান, বোমা বর্ষণ বন্ধ থাকবে। হামাস অস্ত্র চালনা বন্ধ করলে তাদের ক্ষমা করা হবে। হামাস সদস্যরা অন্য দেশে যেতে চাইলে তাদের জন্যে নিরাপদ প্রস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ চুক্তি সমর্থনের ওপর ভিত্তি করে গাজায় পুরো মাত্রায় ত্রাণ পাঠানো হবে। ব্যবস্থা করা হবে পুনর্বাসনের। দুপক্ষের তরফে কোনো রকম বাধা ছাড়াই জাতিসংঘ ও তার অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হবে। গাজার শাসন ব্যবস্থা চলে যাবে অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে, যারা হবে টেকনোক্যাট। দক্ষ ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে, যার তত্ত্বাবধানে থাকবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ কমিটি। বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদ নামের কমিটির সভাপতি থাকবেন ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। সদস্য থাকবেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানরা। মোটকথা গাজার নিয়ন্ত্রণ ভার থাকবে এ কমিটির ওপর, যার প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাস কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো পক্ষের সরকারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বা অন্য কোনোভাবে কোনো ভূমিকা থাকবে না। গাজার সব ধরনের সেনা, সন্ত্রাসবাদী বা ক্ষতিকর অন্য কোনো স্থাপনা যার ভেতর আছে টানেল ও অস্ত্র তৈরির কারখানা, তা ধ্বংস করা হবে। আর তা পুনর্নির্মাণ করা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র, আরব রাষ্ট্র ও অন্যান্য সহযোগীরা মিলে অস্থায়ী ভিত্তিতে স্টাবিলাইজেশন ফোর্স বা আইএসএফ নামে একটি বাহিনী গঠন করবে। এ বাহিনী গাজার পুলিশ বহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে। তারা জর্ডান ও মিশরের সঙ্গে পরামর্শ করে এ কাজ করবে।
ট্রাম্পের ২০ দফায় আরও অনেককিছু আছে। তবে সারসংক্ষেপ এটুকু। পাঠক এটুকু বিশ্লেষণ করলে ট্রাম্পের ২০ দফায় কী আছে তা বুঝতে পারবেন।
ব্রিটিশ এমপি জারাহ সুলতানা এ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য নেশন তার মন্তব্য প্রকাশ করেছে। যাতে জারাহ বলেছেন— যুদ্ধবিরতি ঘোষণাই যথেষ্ট না। স্বাধীনতা মানে স্বাধীনতা, যাতে থাকে না সেনা বাহিনীর দখলদারিত্ব ও বর্ণবাদ। এর অর্থ হলো ফিলিস্তিনিরাই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। টনি ব্লেয়ারের মতো যুদ্ধাপরাধী নয়।
ওই প্রতিবেদনে জারাহকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়, কেয়ার স্টারমার, ডেভিড ল্যামিসহ এরকম যারা আছেন একদিন তাদের বিচার হবে।
এর আগে জারাহ ট্রাম্পের ২০ প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এতে নতুন করে কলোনি সৃষ্টি হবে।
আরেক ব্রিটিশ এমপি ক্লডিয়া ওয়েবে বলেন, গণহত্যার প্রতিবাদ করা মানে সন্ত্রাস নয়।
এবার ফিরে আসি নোবেল শান্তি পুরস্কারে। প্রথমেই বলেছিলাম ২০২৫ সালে এ পুরস্কার পাওয়া নারী ট্রাম্পের অনুরক্ত। যখন আমি এ কথা লিখছিলাম মারিয়া কোরিনা মাচাদো প্যারিসকা তখনো তার পুরস্কার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উৎসর্গ করেননি। নিজের পুরস্কার ট্রাম্পকে উৎসর্গ করার ভেতর দিয়ে প্রমাণিত হলো তিনি গাজায় গণহত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারীকে কতটা ভালোবাসেন। আরও একজনকে এ পুরস্কার উৎসর্গ করতে পারলে তিনি হয়তো বেশি খুশি হতেন। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু— এ দুজনকে একটি পুরস্কার উৎসর্গ করা হয়তো শোভন দেখাবে না, বিষয়টি অর্থনীতির ছাত্রী মারিয়া ভালো করেই বোঝেন। তাই নেননি ঝুঁকি।
নোবেল কমিটি যদি সত্যি নিরপেক্ষ হতো তবে তারা মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ফ্যানসেসকা অ্যালবানিস কিংবা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে দিতে পারতো। গাজা নিয়ে এ তিনজনের পরিশ্রম অস্বীকার করার উপায় নেই। জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। যারা এটা বলেন তারা তাকে সম্পূর্ণভাবে চেনেন না। চিনলে তারা তাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে পারতেন না। গুতেরেস তার সীমাবদ্ধতার ভেতর থেকেও গাজায় গণহত্যার বিপক্ষে কথা বলে গেছেন। তিনি এও বলেছেন, ৭ অক্টোবর শূন্য থেকে সৃষ্টি হয়নি। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৭ অক্টেবার হামাসের প্রতিরোধকে তিনি ক্লডিয়া ওয়েবে বা মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের মতোই সমর্থন করেছেন।
সাইফুর রহমান সাইফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর।
এমজেএফ