ঢাকা, শনিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

মুক্তমত

মিথ্যা মামলায় ফাঁসছেন বাদী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৪৩, অক্টোবর ১০, ২০২৫
মিথ্যা মামলায় ফাঁসছেন বাদী প্রতীকী ছবি

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে ঢাকায় এবং দেশের বিভিন্ন থানায় ও আদালতে। এসব মামলায় ব্যক্তিগত আক্রোশ, মোটা টাকার দাবিসহ কারণে-অকারণে লোকদের আসামি করা হয়েছে।

মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়েও নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি নিরীহ লোকদেরও আসামি করা হয়েছে।

শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা চাঁদা না পেয়ে তাদেরও আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি দেশ-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলেছেন, মিথ্যা মামলা যারা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে; ফৌজদারি মামলা করা হবে। পুলিশের কয়েকটি ইউনিট তদন্ত করে মিথ্যা মামলার বাদীদের শনাক্ত করছে।

প্রাথমিকভাবে ৬৭ জন বাদীকে তারা শনাক্ত করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদর দপ্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ ধরনের মামলা থেকে রেহাই দিতে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করেছে সরকার।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারা অনুযায়ী ইতিমধ্যে ১৩৬ জনকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

আরও ২৩৬ জনের আবেদন বিবেচনা করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলায় কাউকে হয়রানি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। যারা প্রকৃত আসামি তাদেরও আমরা চিহ্নিত করছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা বা অন্য কেউ মামলাবাণিজ্য করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘সবখানেই ভালো-মন্দ লোক আছে। কেউ ফেরেশতা নয়। পুলিশের লোক জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সাধারণ লোকের করা মামলাতেই মানুষ অতিষ্ঠ। পুলিশও জড়ালে মানুষ যাবে কোথায়?’

সারা দেশে ১৭৬০টি মামলা: সংশ্লিষ্টরা জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা হয়েছে ১ হাজার ৭৬০টি। তার মধ্যে হত্যা মামলা ৭৬৬টি ও অন্যান্য ধারার মামলা ৯৭৪টি। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে ৫৫টিতে। ১৮টি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৯৪১ জনকে। আসামিদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতারা রয়েছেন। তাছাড়া ৩৭টি মামলায় ২ হাজার ১৮৫ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট দেওয়া ১৮টি হত্যা মামলা ঢাকা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, পাবনা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া ও আরএমপিতে হয়েছে। অন্যান্য ধারার ৩৭টি মামলা বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নরসিংদী ও বরগুনা জেলায় হয়েছে। শুধু এসআই বা ইন্সপেক্টররাই এসবের তদন্ত করছেন না, সিনিয়র কর্মকর্তারাও করছেন। কিছু সিনিয়র কর্মকর্তা মামলাগুলোর মনিটরিং করছেন।

বাদী-পুলিশ যোগসাজশ! অভিযোগ উঠেছে, এখনো নানাভাবে টার্গেট করে হয়রানিমূলক মামলা করা হচ্ছে। মাঠের পুলিশ বাদীদের সঙ্গে যোগসাজশে আসামিদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে ও বাণিজ্য করছে। বিএনপি নেতাকে যুবলীগ নেতা বানিয়ে মামলা করা হচ্ছে, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে মামলা করা হচ্ছে, মামলার ভয় দেখিয়ে বাণিজ্য করা হচ্ছে। দিশেহারা নির্দোষ ব্যক্তিরা টাকা ঢালতে বাধ্য হচ্ছেন। মিথ্যা মামলায় পুলিশ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

ব্যবসায়ীরা আসামি: শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীদের আসামি করা হয়েছে। এজাহারে নাম অন্তর্ভুক্ত করার আগে তাদের কাছে মোটা টাকা দাবি করা হয়। একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে ৩ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। প্রতারকরা ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তাকে একটি বাসায় নিয়ে দেনদরবার করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে তারা নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা না পেয়ে আদালতের মাধ্যমে তিনটি থানায় মামলা করে। অথচ শিল্পপ্রতিষ্ঠানটির মালিক কখনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এভাবে প্রতারকরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। অনেকে বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না। যারা বিগত সরকারের লেজুড়বৃত্তি করেনি, তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতারকদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাদেরও সুসম্পর্ক আছে। তারা মিলেমিশে অপকর্ম চালাচ্ছে। যারা এসব করছে, তাদের আইনের আওতায় নিতে পুলিশের সবকটি ইউনিট প্রধান ও জেলার পুলিশ সুপারকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলায় অনেক বাদী ফেঁসে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবে এ কথা বলা যায়। মামলায় অনেক ইনোসেন্ট লোকও আসামি হয়েছে। নির্দোষ লোক যাতে সমস্যায় না পড়ে সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি। ’

৬৭ বাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ: পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছর ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে আল-আমিন নামের এক ব্যক্তি মারা যান বলে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী কুলসুম বেগম। পুলিশের একটি সংস্থা নিশ্চিত হয়েছে, আল-আমিন মারা যাননি। একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ব্যক্তির প্ররোচনায় কুলসুম বেগম মামলা করেছেন। পুলিশ আরও জেনেছে, মামলা থেকে নাম বাদ দিতে বাদী টাকা নিয়েছেন কারও কারও কাছ থেকে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করা হয়েছে বলেও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বাদীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই কা- হয়েছে সুনামগঞ্জে। গত বছর ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গুলিবিদ্ধ হন জহুর আলী নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার এক মাস পর তার বড় ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় আসামি ধরা ও ছাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গুলিবিদ্ধ জহুর আলী। নিজের ফেসবুকে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমারে গুলি করছে। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করব। কিন্তু পরে দেখি বাদী সবাইরে মামলায় ঢুকাইয়া দিছে। এখন ব্যবসা শুরু হইছে। একটি মহল কোটি টাকা আয় করছে। মামলায় যারার নাম নাই তারারে পুলিশ ধরে বেশি। লোকজন বলে, আমরা টাকা নিচ্ছি। এটা মিথ্যা। আমরা কোনো টাকা পাই নাই। আমরা গরিব মানুষ। আমরা পড়ছি মহাবিপদে। ’
পুলিশও এ ঘটনার সত্যতা পায়নি। বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সুপারিশ করেছেন।
গত বছর ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় ছাত্র আন্দোলনের সময় মারা যান মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ নামের একজন গাড়িচালক। আসাদুল্লাহর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু মামলার পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা ঘটনার সময় ছিলেন না। আসামি ধরা নিয়েও বাণিজ্য হয়েছে। আসাদুল্লাহর স্ত্রী ফারজানা পুলিশকে বলেছেন, ‘মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মামলার বিষয়ে আমরা কোনো খবর এখন আর রাখি না। যারা মামলা করিয়েছে, তারাই জানেন মামলা নিয়ে কী হচ্ছে। ’
পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে, এই মামলায় রুস্তম আলী নামে এক হকারকে আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কয়েক মাস জেল খেটে তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন। রুস্তম আলী তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জানান, তার বাসা বাড্ডায়। উত্তরায় পত্রিকা বিক্রি করেন। তাকে হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বানিয়ে আসামি করা হয়। অথচ জীবনে কখনো তিনি রাজনীতিই করেননি।
গত ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নাম্বারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আটক হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। হাতের ফুল কেড়ে নিয়ে তাকে মারধরও করা হয়। অথচ হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ওই রিকশাচালককেই জুলাই-আগস্টের ঘটনায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৭ আগস্ট আদালত তাকে জামিন দেয়। এ মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম কলেজশিক্ষার্থী। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তিনি সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি কামরাঙ্গীরচরে থাকেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে মামলাটি করেননি। তার এলাকার ‘মনি চেয়ারম্যান’ অনুদানের কথা বলে একটি কাগজে তার স্বাক্ষর নেন। পরে জানতে পারেন মামলা হয়েছে এবং তিনি সেই মামলার বাদী।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রকি ভূঁইয়ার পরিবারের কয়েকজন সদস্য জুলাই হত্যা মামলার আসামি। পূর্বশত্রুতার জেরে তার পরিবারের সদস্যরা আসামি হয়েছেন। পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত বলে পুলিশকে জানান তিনি।

প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যা মামলা: জুলাইয়ের সহিংসতায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বা আইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অসাধু চক্র মিথ্যা মামলা করেছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সদর দপ্তর ও সিআইডির উচ্চপদস্থ দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জীবিত ব্যক্তিকে শহীদ দেখিয়ে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। বাদী বা তাদের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা জেনেছি, অনেক বাদী টাকার বিনিময়ে কিংবা রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার আশায় মামলা করেছেন। অনেকেই জানেন না তারা কাকে আসামি করেছেন। কিছু মামলার বাদী ক্ষতিপূরণের বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও তথ্য এসেছে। এদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সুবিধাবাদী ব্যক্তি জড়িত। ’

সুযোগ নিচ্ছে পুলিশ: নিরীহ ব্যক্তিদের আসামি করার ভয় দেখিয়ে বা আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ সদস্যরা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সদর দপ্তর এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে এবং মিথ্যা অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ’

ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন: সমালোচনার ঝড় ওঠায় অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের মামলা থেকে রেহাই দিতে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করেছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনার বা জেলা পুলিশের এসপি বা সমমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তার এখতিয়ারধীন কোনো মামলায় যৌক্তিক মনে করলে তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারবেন তারা। ম্যাজিস্ট্রেট তার বিবেচনা বলে নিরপরাধ ও যার বিরুদ্ধে অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই, তাকে বিচার-পূর্ববর্তী পর্যায়েই মামলা থেকে রেহাই দিতে পারবেন।

সূত্র: দেশ রূপান্তর।  

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।