ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

তিন দফা দাবিতে শেবাচিমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৯, অক্টোবর ৩১, ২০২০
তিন দফা দাবিতে শেবাচিমে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

বরিশাল: এবার ঘোষণা দিয়ে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়।

এর আগে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্যাডে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্র জমা দেওয়া হয়।  

স্মরকলিপি ও কর্মবিরতিপত্রে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. তরিকুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাসুদ খানের অনৈতিক ও হীন কর্মকাণ্ডের জন্য ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালকের কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হলো।  

অপরদিকে স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্রে আরও বলা হয়,  দুপুর ২টার মধ্যে তাদের ঘোষিত তিন দফা দাবির সমাধান না হলে কর্মবিরতি যেতে বাধ্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

দাবিগুলো হলো: ডা. মাসুদ খান কর্তৃক দায়ের করা প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার করা অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা।

প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিস্ট্রার ডা. মো. মাসুদ খান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ আরও আট থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরদিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিক্যালের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেন। এর কয়েকদিন পরে ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

মামলা হওয়ার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাত ১১ টা ৫৫ মিনিটে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং কর্মবিরতির ডাক দেয়। পরে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতাল পরিচালক ও উপ-পরিচালকের হস্তক্ষেপে আড়াই ঘণ্টার আলোচনা শেষে রাত আড়াইটায় কর্মবিরতি থেকে সরে আসে ইন্টার্নরা। সেসময় ইন্টার্নরা কিছু আল্টিমেটামও বেধে দেয় কর্তৃপক্ষকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আজ আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। তবে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

শেবাচিম হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় দেড়শত ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন। যারা করোনাকাল থেকে শুরু করে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
এমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।