গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২১ অক্টেবর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে বুধবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন। নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার খামার টেংগরজানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক লিয়ন মিয়া নির্যাতিতা ছাত্রীটির সম্পর্কে চাচা। তিনি একই এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিবেশী সাহেব মিয়ার ছেলে বখাটে লিয়ন মিয়া সম্পর্কে চাচা হলেও দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। লম্পট লিয়নের পরিবারকে একাধিকবার তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় মেয়েটি পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। রাত ৮টার দিকে মেয়েটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে বের হলে ওৎ পেতে থাকা লম্পট লিয়ন মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী মামুন মিয়ার একটি নির্মাণাধীন ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। তখন মেয়েটি চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে। ধর্ষণের পর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জীবননাশের হুমকি দিয়ে লিয়ন পালিয়ে যান। এরপর মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করলে ঘটনাটি জানতে পারে তার পরিবার। পরে তাকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ওসি খান শাহরিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষক লিয়নকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এনটি