প্রতিটি কলার দাম পড়ছে ১৫ টাকা পিস। আর মাঝারি ও ছোট আকারের কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা পিস হিসেবে।
কলার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমের কথা বলছেন। তবে ক্রেতাদের দাবি, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ বলছেন, এবার রজমানের আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে খুলনাঞ্চলের অনেক কলা গাছ ভেঙে গেছে। তাই বাইরে থেকে কলা আমদানি করা হচ্ছে। ফলে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
20190510113456.jpg)
বড় বাজারে কলা কিনতে আসা জিয়াউল হক মিলন শুক্রবার (১০ মে) বাংলানিউজকে বলেন, রমজান এলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কলার দাম বাড়িয়ে দেয়। এবার তার মাত্রা বেশি বেড়ে গেছে। যার কারণে ছোট আকারের দুধসাগর কলা পিসপ্রতি সাড়ে ১২ টাকা করে কিনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কলার এত দাম কেউ কখনও আগে দেখেনি। কলার এত দাম হাওয়ার কথা নয়। রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সুযোগ নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
শাহ আলম নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, দিনভর পানাহার থেকে বিরত থেকে সন্ধ্যায় ইফতারের টেবিলে ও রাতে সেহরির খাবারে কলা ছাড়া যেন চলেই না। বিশেষ করে পাকা আম রমজানে না ওঠায় কলার চাহিদা এবার বেশি। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ইচ্ছেমতো। নিদারুণ অসহায় ক্রেতারা বেশি দামেই কলা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
20190510113520.jpg)
নগরীর তারের পুকুর পাড়ের খুচরা কলা বিক্রেতারা মাহাদুর বলেন, কলার আমদানি কম হওয়া বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। রমজানে কয়েক বছর ধরে পাকা আম পাওয়া যেত। এবার সেই জায়গা দখল করেছে কলা। মাঝারি আকারের কাঁঠালি কলা ১৪৪ টাকা ডজন। শবরি কলা ৯৬ টাকা ডজন। সাগর কলা ১৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
দোকানি জানান, এবার রমজানে কলার দাম তিনগুণ বেড়েছে।
আলামিন নামের এক কলা বিক্রেতা বলেন, রমজানে সবারই কম-বেশি কলা লাগে। যে পরিমাণ চাহিদা বাড়ে সেই পরিমাণ কলা পাওয়া যায় না। যার কারণে দাম বেড়ে যায়।
সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ রমজান এলে ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দেয়। এমন চড়া দামে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে কলা। বেশি দাম দিয়েও অনেক বাজারে কলা পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার থেকে দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে কলা। কলা নিয়ে ব্যবসায়ীরা মেতে উঠেছে অন্যরকম এক কারসাজিতে।
নগরীর বড় বাজারের ডেল্টাঘাট ও বিএল কলেজের সামনের সড়কে খুলনার সবচেয়ে বড় কলার আড়তে কলার সরবরাহ কম দেখা গেছে। যেখানে রমজানের আগে হাজার হাজার কাঁদি কলা থাকলেও এখন শত শত হয়ে গেছে।
ডেল্টাঘাটের আড়তদার খালেক বলেন, কলা খুলনায় বেশি আসে কুষ্টিয়া, যশোর, বাগেরহাটের কচুয়া থেকে। আমদানি কম হলে দাম বাড়ে। বর্তমানে কলার আমদানি কম তাই দাম বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এমআরএম/এএ