সভায় জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সাতক্ষীরায় প্রচুর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এজন্য ফণীর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সবাইকে সর্তক করা হয়েছে।
এছাড়াও জানানো হয়, জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রস্তুতি, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ-কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ-কক্ষের ফোন নম্বর- ০৪৭১৬৩২৮১। এছাড়াও সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩২শ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১১৬ টন চাল, ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
সভায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করে বলা হয়, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর সর্তক সংকেত আসলে তখন উপকূলীয় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হবে। যদ্দুর সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হবে। সংকেত প্রচারে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ প্রত্যক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এমএমইউ