রাজধানীর পল্লবীতে মাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা সৈয়দ হাসান সোহেল ও তার সঙ্গে থাকা তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় মাদক কারবারিরা। আহতরা হলেন— সোহেলের বড় ভাই সৈয়দ হাসান রনি, ছাত্রদল নেতা হৃদয় ও ডলার।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পল্লবীর ১১ নম্বর বিহারিদের মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সোহেল বর্তমানে পল্লবী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনটি হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে— পল্লবী থানা পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই দিন আগে মিল্লাত ক্যাম্পে এক উঠান বৈঠকে সোহেল এলাকায় মাদকের বিস্তার নিয়ে কঠোর বক্তব্য দেন এবং ব্যবসা বন্ধের আল্টিমেটাম দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী ‘পৃথিবী’র ভাইবোন এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী হুদা মামুনসহ শতাধিক মাদক কারবারী।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সুমন জানান, পৃথিবীর বোন জামাই প্রথমে সোহেলের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। পরে সোহেল ও তার সহযোগীদের ক্যাম্পে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত হুদা মামুনসহ প্রায় ২৫–৩০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান খান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় সোহেলের ওপর এই হামলা হয়েছে। পুলিশ মাদক নির্মূলে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মাদক কারবারীদের উৎখাতের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার দায়ভার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীরা এখনো থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএমআই/এমজে